
নাজমুল কবীর, মাদারীপুর প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মাদারীপুর-১ ( শিবচর) মাদারীপুর-২ ,(রাজৈর-মাদারীপুর সদর) মাদারীপুর -৩ (মাদারীপুর সদর কালকিনি, ডাসার) এই ৩ টি আসনে মোট ৮ টি দল ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মাদারীপুর জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মারুফুর রশিদ খান প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন।
মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে আওয়ামীলীগের নূরে আলম চৌধুরী লিটন (নৌকা) প্রতীক তরিকত ফেডারেশনের তোফাজ্জল হোসেন তোতা (ফুলের মালা) প্রতীকে জাতীয় পার্টির মোতাহার হোসেন (লাঙ্গল) প্রতীকে প্রতিদন্ধিতা করিতেছেন। তবে মোতাহার হোসেনকে নির্বাচনী মাঠে পাওয়া যাচ্ছে না। অপরদিকে তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী তিনি ও নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী কার্যক্রম করতে দেখা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের প্রার্থী একাই নির্বাচনী মাঠে আছেন।
মাদারীপুর-২ (রাজৈর-মাদারীপুর সদর) আসনে এবারও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি ৭ বারের সংসদ সদস্য ২ বার নৌপরিবহন মন্ত্রী ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে এ আসনে ৪টি রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়। যাচাই-বাছাই এর সময় ২ জনের প্রার্থীতা বাতিল হলে আপিলে তারা বৈধতা পান। এরপর প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাড়ান জাকের পার্টির প্রার্থী আসাদুজ্জামান আকন।
মাদারীপুর-২ (রাজৈর-মাদারীপুর) আসনে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান (নৌকা) প্রতীকে জাতীয় পার্টির এ.কে.এম নুরুজ্জামান (লাঙ্গল) প্রতীকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ইউসুফ আলী সুমন (একতারা) প্রতীকে ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের সুবল মজুমদার (ডাব) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে আছেন। এ আসনে কোন প্রার্থী জোরালোভাবে নির্বাচনী মাঠে নেই। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কোন প্রকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নির্বাচিত হবেন বলে এলাকার জনসাধারণের ধারনা। এখানে এখন পর্যন্ত কোন নির্বাচন আমেজ দেখা যাচ্ছে না। এ দিকে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকলেও হেভিওয়েট নেতা শাজাহান খানের প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন দুর্বল তিন প্রার্থী।
মাদারীপুর ৩ আসন এ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সোবাহান মিয়া নির্বাচন করে জয়ী হন। এবার ও তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয় । অপরদিকে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগম নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েও মৌকার মাঝি হতে পারেন নাই। সাবেক যোগাযোগ মন্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এ আসন হতে নৌকার মাঝি হওয়ার প্রত্যাশী ছিলেন তিনি মারা যাওয়ায় এ আসনে আব্দুস সোবাহান মিয়ার নৌকার মাঝি হতে কোন বেগ পেতে হয়নি।
মাদারীপুর-৩ ( মাদারীপুর সদর-কালকিনি- ডাসার) এ আসনে ৬টি দল ও ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিতেছেন। মাদারীপুর এর ৩টি আসনের মধ্যে এ আসনে নির্বাচন হচ্ছে জাঁকজমক পূর্ণভাবে এখানে নির্বাচনী আমেজ বোঝা যাচ্ছে। এ আসনে আওয়ামীলীগের মোঃ আব্দুস সোবাহান মিয়া (নৌকা) প্রতীকে আব্দুল খালেক জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) প্রতীকে শ্রী প্রবীন হালদার তৃনমুল বিএনপি (গমের শীষ) প্রতীকে ইকবাল হোসেন জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল) প্রতীকে নিতাই চক্রবর্তী বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (একতারা) প্রতীকে নকুল কুমার বিশ্বাস কৃষক শ্রমিক জনতালীগ (গামছা) প্রতীকে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগম (ঈগল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদন্ধিতা করিতেছেন। মাদারীপুর এর এই আসনে মুলত আওয়ামী লীগ এর আব্দুস সোবহান মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের সাথে লড়াই হবে। এখানে তাহমিনা বেগমের জয়ের সম্ভাবনা বেশী। তিনি কালকিনি থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ না করায় ২ টি আসনের শক্ত কোন প্রতিদ্বন্দ্বি নেই। তবে মাদারীপুর জেলার মানুষ আওয়ামীলীগ পন্থী হওয়ায় এখানে স্বতন্ত্র অথবা দলীয় বিরোধী প্রার্থীকে শক্ত প্রতিদ্বন্দি হিসেবে গণ্য করা হয়।