
আমার কাগজ প্রতিবেদক
আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে বাংলাদেশে গত ১৫ বছরের দুঃশাসনের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান মামলাটিতে ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন।
এই মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্য দুই আসামি, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান, বর্তমানে পলাতক।
জবানবন্দিতে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমি বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান, বিস্তার ও পতন প্রত্যক্ষ করেছি। জুলাইয়ের গণহত্যার পর ট্রাইব্যুনালের পুনর্গঠনের মাধ্যমে যখন বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখন আমি মনে করি, একজন নাগরিক হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আমার ভূমিকা রাখা কর্তব্য।’
তিনি আরও বলেন, “আমি চাই আসামিরা উপযুক্ত শাস্তি পাক। শহীদ পরিবার ও আহতদের পরিবারের দীর্ঘদিনের শোক কিছুটা হলেও লাঘব হোক। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যেন এমন দুঃশাসন আর না আসে, সে শিক্ষা হোক এই বিচারের মাধ্যমে—যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বলা হয়েছিল
মাহমুদুর রহমান এও অভিযোগ করেন, এই হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতার সময় শেখ হাসিনা ও তার সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা কোনো ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তিনি বলেন, ‘যারা সরাসরি হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন কিংবা তা থামানোর চেষ্টা করেননি, তারা সবাই কমান্ড রেসপন্সিবিলিটির আওতায় পড়েন।’
জবানবন্দি শেষ হলে পলাতক আসামিদের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন তাকে জেরা করেন।