
আমার কাগজ ডেস্ক
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ‘‘আমি মিথ্যাচারী জায়নবাদী শাসনের ওপর বিজয়ের জন্য আমার অভিনন্দন জানাই। সব হৈচৈ আর দাবির মধ্যে, জায়নবাদী শাসনব্যবস্থা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ইসলামিক রিপাবলিকের আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মার্কিন শাসনের ওপর আমাদের প্রিয় ইরানের বিজয়ের জন্য অভিনন্দন। মার্কিন শাসন সরাসরি যুদ্ধে প্রবেশ করেছিল, কারণ তারা মনে করেছিল যে, যদি তারা এটি না করে, তাহলে জায়নবাদী শাসন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা সেই শাসনকে বাঁচানোর চেষ্টায় যুদ্ধে প্রবেশ করেছিল কিন্তু কিছুই অর্জন করতে পারেনি।’’
খামেনি বলেন, ‘‘ইসলামিক রিপাবলিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখে একটি ভারী চপেটাঘাত করেছে। ইরান আল-উদেইদ এয়ার বেসে আক্রমণ করেছে এবং ক্ষতি সাধন করেছে, যা এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি।’’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘‘ইসলামিক রিপাবলিকের পক্ষে এই অঞ্চলের মার্কিন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশাধিকার থাকা এবং যখনই প্রয়োজন মনে করবে তখনই পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যতেও পুনরাবৃত্তি হতে পারে। যদি কোনো আগ্রাসন সংঘটিত হয়, তবে শত্রুপক্ষকে অবশ্যই ভারী মূল্য দিতে হবে।’’
গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে আগ্রাসন শুরু করলে এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা জবাব দেয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলে।
২২ জুন ভোরে মার্কিন বোমারু বিমান তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর জবাবে ২৩ জুন সন্ধ্যায় ইরান কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা এই অঞ্চলের অন্যতম বড় মার্কিন সামরিক স্থাপনা।
এরপর ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে ইসরায়েল ও ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি জানালে তেহরান জানায়, তারা তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করে বিজয় অর্জন করেছে।