
আমার কাগজ প্রতিবেদক
জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের নয় মাস পর দেশ ছাড়লেন দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা থাকা এবং ফ্যাসিস্টের সহযোগী হিসেবে অভিযোগ থাকার পরও তিনি কিভাবে দেশ ছাড়লেন, তা এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে সরস আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাকে কেন বিমানবন্দরে আটকানো হয়নি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ দিয়েছেন আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে হান্নান মাসউদ লেখেন, “আব্দুল হামিদকে বিমানবন্দরে আটকানো হলো, তারপর নাকি চুপ্পুর অফিস থেকে ফোন কল পেয়ে ছেড়ে দেয়া হলো। এরপরও কি ইন্টেরিমকে জুলাই বিপ্লবীরা সাপোর্ট করে যাবে!
তিনি লেখেন- সরি, হয় চুপ্পুকে সরান-লীগকে ব্যান করেন, আর না হয় নিজেরা সরে যান।”
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী আবদুল হামিদ বিমানবন্দরে যান বুধবার রাত ১১টার দিকে। তিনি থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেছেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন শ্যালক ডা. নওশাদ খান ও ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবদুল হামিদের দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে ‘চিকিৎসার জন্য’ যেতে দেওয়া হয়েছে।
তবে অনুসন্ধানে মিলেছে ভিন্ন তথ্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আবদুল হামিদ বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে আসলে কর্তব্যরত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। এরপরই ডিজিএফআই ও এনএসআই কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবহিত করা হয়। সেখান থেকে অনাপত্তি আসার পরই সাবেক রাষ্ট্রপতির ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হয়। বিষয়টি উল্লেখপূর্বক নিয়ম অনুযায়ী জিডি করে রাখা হয়েছে বলেও একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।