
আমার কাগজ প্রতিবেদক
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেছেন, গতকাল হাইকোর্ট প্রিফিক্স হিসেবে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করার বিষয়ে দীর্ঘ ১২ বছর যাবত চলমান রিটের রায় প্রদান করেছেন, যা এ সম্পর্কিত সকল ধরনের বিভ্রান্তি, দ্বিধা ও অস্বস্তি দূর করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এছাড়া ৪৫, ৪৬ এবং ৪৭ বিসিএসে যথাক্রমে ৪৫০, ১৬৮২, ১৩৩১ জন চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ চলমান আছে। তিনটি বিসিএস চলমান থাকা সত্ত্বেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকের ঘাটতি প্রকট আকার ধারন করায় একটি বিশেষ বিসিএস এর মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ২০০০ জন চিকিৎসক নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ০৯/০৩/২০২৫ তারিখে জনপ্রশাসন বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান আরো বলেন, সকল ক্যাডারের জন্যে বয়সসীমা ৩২ করা হলে আনুপাতিক হারে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের ক্ষেত্রে তা ৩৪ হওয়ার কথা হলেও সেটি এবার বৃদ্ধি করা হয় নি। আমরা ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ জানালেও সেটি গৃহীত হয় নি। তদুপরি গত ০৫/০৩/২০২৫ তারিখে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনটি সকল পক্ষের সাথে আলোচনার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সেটিতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্তি, বর্জন বা পরিমার্জনের জন্যে কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্যে অপেক্ষা করা হচ্ছে, যা শীঘ্রই পাওয়া যাবে।
চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও বৈষম্যেরও অবসান করার চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ পদে বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকারদের মধ্য থেকে দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়ন করা হয়েছে। পদোন্নতিযোগ্য বিশেষজ্ঞদের পদোন্নতিদানের জন্যে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক সুপারনিউমারি পদ সৃষ্টির কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের জন্যে নেয়া উদ্যোগসমূহের পাশাপাশি আমরা নার্সসহ অন্যান্য সকল সহায়ক জনশক্তির নিয়োগের প্রক্রিয়াকেও গতিশীল করেছি যেন সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে সকল শূন্যপদ পূরণ করা যায়। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছে ধৈর্যধারণ করার জন্য অনুরোধ করছি। অন্তবর্তীকালীন সরকারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্যে মানসম্মত স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা এই দেশটির কল্যাণমুখী রূপান্তরের জন্যে স্বাস্থ্যখাতে বড় ধরনের পরিবর্তনের চেষ্টা করছি এবং সে লক্ষ্যে আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।