স্পোর্টস ডেস্ক
টাইব্রেকারে লিওনেল মেসি ক্রসবারে মারলেও গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসের বীরত্বে একুয়েডর-পরীক্ষায় উতরে গেল আর্জেন্টিনা।
ভীষণ প্রয়োজনের সময় আরও একবার জ্বলে উঠলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। টাইব্রেকারে একুয়েডরের দুটি শট ঠেকিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক। প্রথম শটে লিওনেল মেসি ক্রসবারে মারলেও মার্তিনেসের বীরেত্বে সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিল লিওনেল স্কালোনির দল।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে কোয়ার্টার-ফাইনালে মূল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র থাকার পর লড়াই গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ ব্যবধানে জিতে শিরোপা ধরে রাখার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে পাওয়া গোলে এগিয়ে ছিল কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। যোগ করা সময়ের ২ মিনিটে এসে সেই গোল শোধ হয়ে যাবে কে ভেবেছে! একদম বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই সমতাসূচক গোলটি করে ইকুয়েডর। ফ্রি কিক থেকে উইঙ্গার জন ইয়েবোয়া বলটা বক্সের ভেতর ফেলেছিলেন। ফরোয়ার্ড কেভিন রদ্রিগেজের কুশলী হেড দূরের পোস্ট দিয়ে জড়ায় জালে। প্রায় হেরে বসা ম্যাচে ১-১ গোলে সমতায় ফিরে ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের উল্লাস তখন দেখে কে!
কোপা আমেরিকায় ফাইনাল ছাড়া নকআউট পর্বের কোনো ম্যাচেই অতিরিক্ত সময় নেই। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে শেষ হওয়ায় ম্যাচটি তাই সরাসরি গড়ায় টাইব্রেকারে। আর্জেন্টিনার হয়ে টাইব্রেকারে প্রথম শটই মিস করেন লিওনেল মেসি। বল ক্রসবারে মারেন। আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ অবশ্য ইকুয়েডরের প্রথম শটটিও ঠেকিয়ে দেন। এরপর দ্বিতীয় শটটিও ঠেকিয়ে টাইব্রেকারে আবারও ‘অতিমানব’ হয়ে ওঠেন মার্তিনেজ। ইকুয়েডরের হয়ে প্রথম দুটি শট নেওয়া অ্যাঞ্জেল মেনা এবং অ্যালান মিন্দার শট ঠেকান মার্তিনেজ। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-২ গোলের জয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা।
হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার এই কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সেন্টার-ব্যাক লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। মেসির কর্নার থেকে হেড করে বলটি বাঁ প্রান্তের পোস্টে পাঠান ম্যাক অ্যালিস্টার। সেখানে সুবিধাজনক অবস্থানে দাঁড়ানো মার্তিনেজ হেডে গোলটি করেন।