
আমার কাগজ ডেস্ক
১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে ” আহমেদ বাওয়ানী একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ ” জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ মোশারফ হোসেন মুন্সী মুকুলের সভাপতিত্বে এতে দিবা শাখার ইনচার্জ মোঃ আফসার আলী, প্রভাতী শাখার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রিন্স, শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মীর মোঃ সৈয়ব আলী,কলেজ শাখার ইনচার্জ মোহাম্মদ হোসেন ভুঁইয়া বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন প্রভাতী শাখার সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সোলায়মান মীর।পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সহকারী শিক্ষক নূর আলম।
বক্তারা শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট যাঁরা শহীন হয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং মুজিব নগর সরকারের প্রয়াত সদস্যবৃন্দ,কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের বিদাহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন মুন্সী মুকুল বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক অনিবার্য সত্য ও বাস্তবতা।বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুজিব নগর সরকারের অবদান অনস্বীকার্য। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষ্যে শিক্ষক হিসেবে আমাদেরকে আগামী প্রজন্ম শিক্ষার্থীদের কাছে এ সরকারের অবদান তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন আজ থেকে ৫১ বছর আগে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল শনিবার বেলা ১১টার দিকে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে এক অনাড়ম্বর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথগ্রহণ। শপথ অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। বৈদ্যনাথতলা ছিল এক অপরিচিত গ্রাম। ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অস্থায়ীসরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মেহেরপুরের এই গ্রামটির নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ ঘোষণা করেন, আজ থেকে (১৭ এপ্রিল) বৈদ্যনাথ তলার নাম হবে মুজিবনগর। আজ বাঙালি জাতির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন রাষ্টের সরকার প্রতিষ্ঠার সেই স্মরণীয় দিন। এ সময় উপস্থিত সবাই মুক্তিপাগল বাঙালি, শত শত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দে উল্লাসে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে আম্রকুঞ্জের বাতাস প্রকম্পিত করে তুললেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে রইলো এই দিনটি।
তিনি আরো বলেন, জাতির জনক তাঁর ৫৫ বছরের জীবন-ইতিহাসে ৪ হাজার ৬ শত ৮২ দিন (প্রায়) ১৩ বছর জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি যুদ্ধ করেছেন বলে তাদের জাতিসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন।
এমন একজন নিঃস্বার্থ নেতা পাওয়া বাঙালি জাতির জন্য সৌভাগ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, নিজেদের জীবন বাজি রেখে যাঁরা মুজিব নগর সরকার গঠন করলেন,তাঁদের সুনিপুণ নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র কখনও এমন স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি বলেই মুজিব নগর সরকারের নেতৃত্বদানকারী চার নেতাকে জেলে বন্দী অবস্থায় স্বাধীনতা উত্তর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।আজকের এ দিনে চার নেতার হত্যাকারী নরপিশাচদের ঘৃনা জানাবার ভাষা আমাদের নেই। তবে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা যে কোন মূল্যে রক্ষা করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।