আমার কাগজ ডেস্ক
পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবির আইনী ঝামেলা আরও বাড়ল। গত সপ্তাহে বুশরার সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকা ইমরান খানের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেছেন, পিটিআই চেয়ারম্যান তার সুখের সংসার তছনছ করে দিয়েছেন।
জিও নিউজের ‘আজ শাহজেব খানজাদা’ শোতে মানেকা বলেন, ‘‘আমাদের সাংসারিক জীবন ২৮ বছর ধরে ছিল এবং এবং আমরা অনেক সুখী ছিলাম। ইমরান খান সেই সংসার পীর-মুরিদির ছদ্মবেশে তা নষ্ট করে দিয়েছেন।’’
এবার গতকাল শনিবার মানেকা ইসলামাবাদের একটি আদালতে ইমরান, তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিয়ে ও ব্যভিচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানেকা ইসলামাবাদ ইস্ট সিনিয়র সিভিল জজ কুদরতুল্লাহর আদালতে ইমরান-বুশরার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৩৪,৪৯৬ ও ৪৯৬ (খ) ধারায় ইমরান-বুশরার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। মানেকা মামলার অভিযোগে বলেছেন, ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর বুশরাকে তিনি তালাক দেন। ইদ্দতকাল (অপেক্ষার সময়কাল) শেষ হওয়ার আগেই ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন ইমরান ও বুশরা।
ডন জানাচ্ছে, শুনানি নিয়ে আদালত মামলায় উল্লেখিত তিন সাক্ষীর প্রতি নোটিশ জারি করেছেন। তারা হচ্ছেন, ইস্তেখাম-ই-পাকিস্তান পার্টির সদস্য আউন চৌধুরী, নিকাহ পরিচালনাকারী মুফতি মুহাম্মদ সাঈদ ও মানেকার বাড়ির কর্মচারী লতিফ। তাদের ২৮ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুশরার প্রথম স্বামী ছিলেন মানেকা। ১৯৮৯ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল।
মানেকা গত সপ্তাহে বলেন, ২০১৭ সালের নভেম্বরে বুশরা বিবির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। এরপর দেড় মাসের মধ্যে বুশরা বিবি ইমরান খানকে বিয়ে করেন। তবে এই বিয়ে সম্পর্কে জানতেন না বলে দাবি করেন বুশরা বিবির সাবেক স্বামী।
তিনি বলেছেন, ‘তাদের বিয়ে নিয়ে আমি এবং আমার সন্তান অবগত ছিলাম না। যখন জিও এবং দ্য নিউজ তাদের বিয়ে নিয়ে রিপোর্ট করে তখনও আমি তা উড়িয়ে দিয়েছিলাম।’ ২০১৮ সালের মার্চে দ্য নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ইমরান খান এবং বুশরা বিবির বিয়ে হয়। কিন্তু তাদের বিয়ের ছবি প্রকাশিত করা হয় ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখে।
মানেকা দাবি করেছেন, এর আগে তার সম্মতি ছাড়াই ইমরান খান তার বাড়িতে যেতেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, তিনি পিটিআই চেয়ারম্যানকে তার বাড়ি থেকে বেরও করে দিয়েছিলেন।