কক্সবাজার প্রতিনিধি
৫১৭ জন পর্যটক নিয়ে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ‘বার আউলিয়া’ নামের একটি জাহাজ। বুধবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজটি যাত্রা করে। বেলা ১২টার পরে জাহাজটি দ্বীপে পৌঁছবে।
বুধবার সকাল থেকে জেটি ঘাটে ভিড় করেন ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। এ সময় কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশসহ বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা তদারকির দায়িত্বে ছিলেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্রগ্রামের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা নয়ন শীল জানান, কোনো জাহাজ যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে সেজন্য আমরা তদারকি করছি। প্রথম দিন ৫১৭ জন যাত্রী নিয়ে ‘বার আউলিয়া’ জাহাজ সেন্টমার্টিন রওনা করে। এ জাহাজে সাড়ে আটশ যাত্রী ধারণের ক্ষমতা আছে।
ভ্রমণে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমির হামজা জানান, দ্বিতীয় বারের মতো প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘুরতে এসেছি, খুব আনন্দ লাগছে। আমাদের দলে ২০ জন রয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র নিয়ে প্রথম দিন আমাদের জাহাজ ৫১৭ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে রওনা দিয়েছে। সমুদ্রের পরিবেশ শান্ত দেখা গেছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনানা চৌধুরী জানান, বুধবার সকালে ওই পর্যটকবাহী জাহাজে করে ৫০০ এর বেশি ভ্রমণকারী সেন্টমার্টিন দ্বীপে রওনা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এ জাহাজগুলো চলাচল শুরু করেছে। পর্যটকদের যাতে সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
সর্বশেষ গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করেছিল। ওই সময় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন থেকে কেয়ারি সিন্দবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, আটলান্টিক, শহীদ আব্দুস সালাম, এমভি পারিজাত, এমভি রাজ হংস, সুকান্ত বাবু, এমভি বে ক্রুজ এবং এমভি বার আউলিয়া জাহাজ চলাচল করত। যদিও আগের দিন বার আউলিয়া জাহাজে করে জেলা প্রশাসনের একটি পর্যবেক্ষক দল দ্বীপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ঘুরে আসেন।