
স্পোর্টস ডেস্ক
গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ ও সিরিজসেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান।
১১ বলে ১৮ রান ও ১৫ রানে ২ উইকেট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচে গতকাল সাকিব আল হাসানকে ম্যাচসেরা করতে ওটুকুই যথেষ্ট ছিল। হিসেবে যখন প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৯ রান ও আর ২ উইকেট যোগ হলো, তখন সিরিজের সেরাও হলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
এমন অভিজ্ঞতা অবশ্য সাকিবের জন্য নতুন নয়। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪২বার ম্যাচ সেরা হয়েছেন। আর সিরিজ সেরা হলেন ১৭ বার।
সিরিজ সেরা হওয়ার শীর্ষে এখনো শচীন টেন্ডুলকার। দুই যুগ লম্বা ক্যারিয়ারে মোট ১৯বার সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন টেন্ডুলকার। ক্যারিয়ার দৈর্ঘ্যে অনেক পিছিয়ে থাকলেও বিরাট কোহলি পূর্বসূরির রেকর্ড কেড়ে নেওয়ার খুব কাছে। এরই মধ্যে ১৮টি সিরিজের সেরা হয়েছেন কোহলি। এ দুজনের পরই আছেন সাকিব।
ম্যাচ সেরার তালিকায় অবশ্য সাকিব সেরা পাঁচে ঢুকতে পারেননি। গতকালের পর টি-টোয়েন্টিতে ১১ বার ম্যাচ সেরা হয়েছেন, টেস্টে হয়েছেন ছয়বার। আর ওয়ানডেতে ২৫ বার। ম্যাচ জেতানোয় সাকিব আছেন কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার পাশে।
এখানেও সবার ওপরে আছেন টেন্ডুলকার (৭৬)। কোহলি (৬৩) বড় ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন। কোহলি ও সাকিবের মাঝে যারা আছেন, তারা সবাই অবসরপ্রাপ্ত। এখনো খেলছেন, এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে রোহিত শর্মা ও ডেভিড ওয়ার্নারই শুধু সাকিবের আশপাশে আছেন। দুজনই ম্যাচসেরা হয়েছেন ৩৭বার।
ম্যাচসেরা হতে একজন ক্রিকেটারের কত ম্যাচ লাগে, সে হিসেবে সাকিব সেরাদের কাতারে আছেন। বিরাট কোহলি প্রতি আট ম্যাচে অন্তত একবার সেরা হন, টেন্ডুলকারের ক্ষেত্রে সেটি নয়ের কাছাকাছি। ক্যালিসেরও ৯ ম্যাচের একটু বেশিই লাগত ম্যাচ সেরা হতে। সাকিবের ক্ষেত্রে সেটি দশের একটু কম (৯.৯৫)।
বাংলাদেশের ম্যাচ সেরাদের হিসেবটা সাকিবময়। শুধু টেস্টেই ম্যাচসেরায় সাকিবের পাশে আছেন মুশফিক (৬)। কিন্তু সাকিব যেখানে পাঁচবার সিরিজসেরা হয়েছেন, সেখানে মুশফিক টেস্টে কখনো সিরিজের সেরা হতে পারেননি। মুমিনুল চারবার ম্যাচসেরা হয়েছেন। আশরাফুল ও তামিম সেরা হয়েছেন তিনবার করে।
টি-টোয়েন্টিতেও সাকিবের ধারেকাছে কেউ নেই। দ্বিতীয়সেরা মাহমুদউল্লাহ পাঁচবার ম্যাচের নায়ক হয়েছেন। সৌম্য ও মুশফিক হয়েছেন চারবার। নাসুমসহ আরও বেশ কয়েকজন তিনবার ম্যাচসেরা হয়েছেন।
ওয়ানডেতে সিরিজ জেতানোয় সাকিবের কাছাকাছি আছেন তামিম ও মুশফিক। সাকিব সাতবার ওয়ানডেতে সিরিজসেরা হয়েছেন, বাকি দুজন সেরা হয়েছেন ছয়বার করে। তবে ম্যাচ জেতানোয় সাকিবের চেয়ে অনেক পিছিয়ে তামিমরা। তামিম ম্যাচসেরা হয়েছেন ১৬ বার, মাশরাফি ১২ বার। মুশফিক ১০ বার ম্যাচ জেতানোর স্বীকৃতি পেয়েছেন। শাহরিয়ার নাফীস ৭ বার হয়েছেন ম্যাচের সেরা।