
অভিযুক্ত মদাতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: প্রতিনিধি
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম, অনাচার, স্বেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন সদস্য। এ ঘটনায় সম্প্রতি জেলা প্রসাশক বরাবর অভিযোগও করেছেন তারা।
প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ, ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ১ম পর্যায়ে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘চামটাহাট হইতে রথবাড়ির ডাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার’ ও টিআর প্রকল্পের ২য় পর্যায়ে ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘মদাতী ইউনিয়ন পরিষদের উত্তরে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ’র নামে ২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
কিন্তু ওই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একই অর্থ বছরে ভূমি হস্তান্তর কর ১% এর ১ম পর্যায়ে ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেখিয়ে ‘চামটাহাট হতে রথবাড়ির ডাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার’ ও ২য় পর্যায়ে ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেখিয়ে ‘মদাতি ইউনিয়ন পরিষদের উত্তরে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করে টাকা আত্মসাত করেন।
এছাড়া হাট বাজার তহবিল হতে চারটি স্কীমে কাগজ কলমে কাজ দেখিয়ে ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাত করেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এমন অভিযোগ করেন কয়েকজন ইউপি সদস্য।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সহিদুল ইসলাম, মকবুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, জুয়েল ইসলাম ও আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কোন প্রকার পরিষদের সভা বা সিদ্ধান্ত ছাড়াই এককভাবে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করে আসছেন। টিআর, কাবিটা, হাটবাজারের তহবিল ও ভুমি উন্নয়ন করের বরাদ্দকৃত টাকায় প্রকল্প দেখিয়ে আরইআরএমপি মহিলাদের দিয়ে বাস্তবায়ন করে সরকারি টাকা আত্মসাত করেন। এ ঘটনায় তারা জেলা প্রসাশক বরাবর অভিযোগ করেছি।
তবে ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, কতিপয় ইউপি সদস্য ব্যক্তিগত সুবিধা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। ইতোমধ্যে আমি ওই অভিযোগের জবাবও দিয়েছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রসাশক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কয়েকজন ইউপি সদস্য একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।