![](https://amarkagoj.com/wp-content/uploads/2024/05/Untitled-4-copy-4.jpg)
আমার কাগজ ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কায়রোতে হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) কোনও সমাধান ছাড়াই শেষ হলো বেশ কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় চলা এই আলোচনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুমকি উপেক্ষা করে এদিনই পূর্ব রাফাহতে একটি মসজিদের কাছে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজায় হামলা করলে দেশটিকে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিলেন বাইডেন। হুমকির জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, কোনো ধরনের চাপই ইসরাইলকে চলমান যুদ্ধে লক্ষ্য অর্জনে বাধা দিতে পারবে না। প্রয়োজনে ইসরায়েল একা দাঁড়াবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় সংঘর্ষ থামানোর প্রচেষ্টায় কায়রোতে অনুষ্ঠিত পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফাহ এবং গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে অভিযান চালিয়ে যাবে ইসরায়েল।
মূল রাফাহ শহরের ভেতরে এখনও ইসরায়েলি স্থল বাহিনী প্রবেশ করেনি। সেখানকার বাসিন্দা এবং চিকিৎসকরা এখন পর্যন্ত অক্ষত আছেন।
এছাড়া, ইসরায়েলি হামলায় রাফাহর সাবরা এলাকায় দুটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-মুজাহেদিন ব্রিগেডের এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ও তার পরিবার, দলটির আরেক নেতার পরিবার এবং চিকিৎসক রয়েছেন।
ইসরায়েল বলেছে হামাস যোদ্ধারা রাফাহতে লুকিয়ে আছে। এখানে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।