![](https://amarkagoj.com/wp-content/uploads/2023/12/image-252426-1702972592.jpg)
জি কে শামীম
আমার কাগজ প্রতিবেদক
ক্যাসিনো কাণ্ডে আলোচিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এস এম গোলাম কিবরিয়া শামিম ওরফে জি কে শামিমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে জি কে শামীমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল। তাকে শুনানিতে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বি এম ইলিয়াস কচি এবং অ্যাডভোকেট মো. নাজমুস সাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি।
এর আগে গত বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এস এম গোলাম কিবরিয়া শামিম ওরফে জি কে শামিমকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এস এম আবদুল মোবিন এবং বিচারপতি মাহমুদ হোসেন তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
সেদিন শুনানিতে ফিদা এম কামাল বলেন, শামীমের অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল, যা বিচারিক আদালত রায়েও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তারপরও তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা, ২০১৬ এর ২৫ বিধির লঙ্ঘন দেখিয়ে অস্ত্র আইন, ১৮৭৮ এর ১৯ (ই) ধারা মোতাবেক, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। কেননা, নীতিমালা লঙ্ঘনের জন্য অপরাধ সংঘটিত হয় না তথা সাজা দেওয়া যায় না।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মোরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আনিছুল ইসলাম।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ। এরপর ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।