
ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীর পরশুরাম-সুবার বাজার সড়কের কালীকৃষ্ণ নগর এলাকায় ব্রিজ নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণের দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, মির্জানগর ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলের এ সড়কে ব্রিজ নির্মাণের জন্য তৈরি করা বিকল্প রাস্তায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় গত কয়দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে পানিতে তলিয়ে গেছে জমিতে রোপণ করা আমনের চারা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় লোকজন শনিবার (৫ আগস্ট) রাতে বিকল্প সড়কের অংশ কেটে দেন। ফলে এ সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হাশেম জানান, মেলাঘর, পূর্ব রাঙামাটিয়া, ডিএম সাহেবনগর,কালীকৃষ্ণ নগর, মির্জানগরসহ ৮ গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম ভারত থেকে নেমে আসা এ বল্লামুখা খাল। এখানে খালের উপর বাঁধ দিয়ে একটি ব্রিজের নির্মাণকাজ অজ্ঞাত কারণে ধীরগতিতে চলছে। বিকল্প সড়ক নির্মাণ করে এখানে পানি চলাচলের জন্য সরু একটি নল বসানো হয়েছে। যার কারণে উত্তর পাশের পানি জমে জমির রোপা আমন পঁচে যাচ্ছে।
মো. ইউনুছ নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ঠিকাদারের গাফেলতির কারণে আজকে এত মানুষের দুর্ভোগ। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরও দায় এড়াতে পারে না। জনসাধারণের কথা মাথায় রেখে দু’পক্ষই আরও আন্তরিক ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টাে ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে বলার পরও ঠিকাদার কাজের কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এক সঙ্গে শুরু করে একটি ব্রিজের কাজ অনেক আগে শেষ করলেও অন্যটিতে ধীরগতি। ঠিকাদারের গাফেলতির কারণে এখানের মানুষের এ দুর্ভোগ। বর্তমানে মির্জানগর ও গদানগর হয়ে মানুষজন চলাচল করছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে বৃষ্টি, পাইলিং জটিলতা ও শ্রমিকদের নিয়মিত কাজে না পাওয়ায় কাজ শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে। এখানে আমার গাফেলতির কোনো সুযোগ নেই। বৃষ্টি কমলে আশা করি বাকি কাজ দ্রুত শেষ করতে পারব।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী এস এম শাহ আলম ভূঁইয়া বলেন, প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সড়কে দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজে বারবার শ্রমিক পরিবর্তনের কারণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ইতোমধ্যে সে জায়গা ঊর্ধ্বতন কর্মকতাসহ পরিদর্শন করেছি। পানি কমে গেলে চলাচলের রাস্তার ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা শমসাদ বেগম ঢাকা পোস্টকে জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) সে স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। কাজে ঠিকাদারের কোনো গাফেলতির প্রমাণ মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেন তিনি।