
সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে এবারের বন্যায় সড়ক ও জনপথ এবং এলজিআরডির প্রায় দুইশ’ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা মেরামতে দরকার হবে প্রায় চারশ’ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথের ৩৯ কিলোমিটার রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। উজানের ঢলের কারণে বার বার রাস্তা মেরামত করেও টেকানো যাচ্ছে না। এলাকাবাসী বলছেন, সিলেটের বন্যা নিয়ন্ত্রণে দরকার নদী খনন করা।
উজানে বৃষ্টি না থাকায় সিলেটে সব নদীর পানি এখন বিপদ সীমার নিচে। দু-একটি এলাকা ছাড়া শহর আর হাওরের ঘরবাড়ি থেকেও বানের পানি নেমে গেছে।
উজানে ঢল না থাকলেও ফেঞ্চুগঞ্জ মধ্যবাজারের পানি এখনও নামেনি। গেলো দু’বছর ধরে বন্যার পানিতে ডুবছে বাজারটি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কুশিয়ারা নদী খনন না করাতেই এই অবস্থা।
এবার বন্যা সিলেটে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় ৩৯ কিলোমিটার রাস্তা নষ্ট হয়েছে। আর স্থানীয় সরকার বিভাগের রাস্তা নষ্ট হয়েছে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার। দুই প্রতিষ্ঠানের এই রাস্তা মেরামতে লাগবে কয়েকশ’ কোটি টাকা। অতিরিক্ত ঢলের কারণে সড়কগুলো টিকছে না।
সিলেটের সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমীর হোসেন জানান, সড়ক ও জনপদের ৫৪৩ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে প্রথম দফায় ৩৮ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দ্বিতীয় দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩৯.৪ কিলোমিটার রাস্তা।
সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে পলি জমে গভীরতা কমে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যার ভয়াবহতাও এবার বেড়েছে। পানি নিষ্কাসনের প্রাকৃতিক উৎসগুলো বিলীন হওয়ায় এই সমস্যা আরও বাড়ছে।
চলন্ত ট্রেনের সামনে লাফিয়ে দুই হাত তুলে দাঁড়ালেন নারীচলন্ত ট্রেনের সামনে লাফিয়ে দুই হাত তুলে দাঁড়ালেন নারী
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার বলেছেন, আমরা প্রায় ২০টা নদী খননের পরিকল্পনা করছি।
যেভাবে হাওর ও শহরে উন্নয়ন করে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে তাতে ভবিষ্যতে সিলেট অঞ্চলের বন্যা নতুন শঙ্কার কারণ হতে পারে।