
আমার কাগজ প্রতিবেদক
জাতির পিতার নামের স্টেডিয়াম। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থিত ঢাকার এই স্টেডিয়াম খেলাধুলার দুনিয়ায় সমাদৃত হলেও নিজের ঘরেই যত্নের অভাবে আছে। সংস্কারের নামে বছর বছর স্টেডিয়াম ভাঙচুর চলছে। উন্নয়ন কাজ শেষ হচ্ছে না। এই মাঠে যেসব খেলা হতো তা বন্ধই হয়ে গেছে। কবে নাগাদ শুরু হবে তা বলাও কঠিন। তিন বছর ধরে সংস্কার কাজ চলছে। অনেক দিন ধরে সংস্কার কাজ বন্ধ। শ্রমিকের আনাগোনা নেই। কুকুর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যত্রতত্র মালামাল পড়ে আছে। পড়ে থাকা লোহালক্কড়ের ফাঁকফোকড় দিয়ে আগাছা বেড়ে উঠছে। প্রায় তিন মাস কাজ বন্ধ। কবে শুরু হবে তা কারোই জানা নাই।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ জানিয়েছেন, সরকারের কাছে ৫০ কোটি টাকার বাজেট পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলে পুনরায় কাজ শুরু হবে। তিনি জানান, প্রথমে ১০০ কোটি টাকার বাজেট নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। পরে কাজ আরও বেড়েছে। বেশ কিছু সংযোজন হয়েছে, বাজেট বেড়ে ১০০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি টাকা হয়েছে। এখনো স্টেডিয়ামের শেড স্থাপন করা হয়নি। একটা লাগানো হলেও সেটি নমুনা হিসাবে লাগানো হয়েছে। ফ্লাডলাইট বসবে, চেয়ার বসানো হবে আরও নানা কাজ বাকি রয়েছে। আমি তো সব বলতে পারব না উন্নয়ন শাখা রয়েছে, তারা আরও ভালোভাবে পরিষ্কারভাবে তথ্য দিতে পারবে। উন্নয়ন শাখা এই বিষয়গুলো দেখভাল করছে। আমার কাছে জানতে হলে সময় দিতে হবে, খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারব। তবে হ্যাঁ এখন বড় ধরনের কোনো কাজ হচ্ছে না। বাজেট অনুমোদন হয়ে আসলে কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। টেন্ডার দিতে হবে মালামাল আনতে হবে। কাজও শুরু হয়ে যাবে। ফু দিয়ে কাজ শেষ করা যাবে না। সময় দিতে হবে। আমরা মানসম্পন্ন কাজ করার চেষ্টা করছি।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আবর্জনায় ভরে গেছে। কাজ বন্ধ থাকলেও পরিষ্কার রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। বিশেষ করে গ্যালারিতে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ভাঙা চেয়ার, বাঁশ, কাঠ, আবর্জনার স্তূপ জমে আছে জাগায় জাগায়।
স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিক ট্র্যাক স্থাপনের কাজ শেষ। এখন মার্কিংয়ের কাজ বন্ধ। অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিবে পরিমল সিংহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কবে নাগাদ ট্র্যাকের কাজ শেষ হবে তা জানতে চান তিনি। ২৫ জুলাই দেশের বাইরে থেকে লোক আসবেন। তারা মার্কিং করার কাজ করে দিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন মন্টু। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহও একই কথা বলেন,‘ট্র্যাক যারা করেছে তারা এসে মার্কিংয়ের কাজ শেষ করলে আমরা একটা ধাপ শেষ করতে পারব।’ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের পরিকল্পনা, তারা যদি ট্র্যাক বুঝে নিতে পারে তাহলে সেপ্টেম্বরেই সামার অ্যাথলেটিকসের আয়োজন করবে।