![](https://amarkagoj.com/wp-content/uploads/2024/02/d9aecb13-d609-48fe-ab9b-7eac4195045d-1024x682.jpg)
আমার কাগজ প্রতিবেদক
বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে জমে ওঠেছে পার্বত্য মেলা। উদ্বোধনের পর থেকেই উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে এখানে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬.০০ টায় বেইলী রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে প্রথম উদ্বোধন হয় পার্বত্য বান্দরবানের হস্ত ও কারু শিল্পের দৃষ্টি নন্দন বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্রটি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান এনডিসি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর বুকে, বেইলী রোডের মত প্রাণকেন্দ্রে অনেকটা কম মূল্যে পাহাড়ের হস্ত শিল্প সামগ্রী ও জুমে উৎপাদিত মৌসুমি-ফরমালিন মুক্ত ফলমূল, শাকসবজির সমাহার থাকবে বিক্রয় কেন্দ্রটিতে। মারমা প্রধান পার্বত্য বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বম জনজাতিকে প্রাধান্য দিয়ে বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্রটির নাম রাখা হয়েছে, বম ভাষায় “Senripar” যার বাংলা অর্থ কৃষ্ণচূড়া। তবে এখানে মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চগ্যা, বাঙ্গালি, অহমিয়া, খেয়াং, খুমি, গুর্খা, চাক, পাংখোয়া, বম, লুসাই, রাখাইন এবং সাঁওতালসহ সকল সম্প্রদায় তাদের পছন্দ মতো সামগ্রীর পসরা অনায়াসেই কেনাকাটা করতে পারবেন ‘সেনরিপারে’ (কৃষ্ণচূড়ায়)।
পহেলা ফাল্গুন, ঋতুরাজ বসন্ত, বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য ‘কৃষ্ণচূড়া’-এতেই এ নামকরণ। আশার কথা হলো, পার্বত্য বান্দরবানের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য দেশ ও বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের বিশেষ উদ্যোগের অংশ, এই বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্রটি। সারা বছর জুড়ে দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে কেন্দ্রটি। সবাইকে বেইলী রোডস্থ সেনরিপারে স্বাগতম।