
বিনোদন ডেস্ক
১৫ বছর বয়সে স্কুল ফাঁকি দিয়ে সুপার শপে সোডা ওয়াটার কিনতে গিয়ে লানা টার্নার এক স্ক্রিপ্ট রাইটারের চোখে পড়ে যায় । আর যায় কোথায় ? সো-জা হলিউড । আর পিছে তাকাননি । টানা ৫০ বছর হলিউডের ক্যামেরা ব্যস্ত রাখেন । লানা টার্নার ছিলেন পর্দা কাঁপানো সুন্দরী । তাঁকে দর্শকরা ‘ফিল্মের দেবী’ বলে ডাকতো । তিনি এতোটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে ১৯৪০ দশকের পুরোটাই তিনি ছিলেন আমেরিকার সবচেয়ে এক্সপেন্সিভ অভিনেত্রী ।
ছোট্ট এক মজার ঘটনা । জেমস বন্ড লিজেন্ড শ্যোন কনেরি’র সাথে ১৯৫৭ সালে ‘এনাদার টাইম , এনাদার প্লেস’ মুভি’র শুটিং চলছিলো লানা টার্নারের । হঠাৎ তাঁর রাগী বয়ফ্রেন্ড ড্রাংক হয়ে শুটিঙের সেটে ঢুকে শ্যোন কনেরি ও তাঁকে পিস্তল তাক করে । মুহূর্তে মিস্টার জেমস বন্ড পিস্তলসহ আগন্তককে ধরাশায়ী করে ফেলেন । পুরো দৃশ্যটাই ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছিলো । অবশ্য মুভি’তে তা কাজে লাগানো হয়নি ।
লানা টার্নার ব্যক্তিজীবনে সুখী ছিলেন না । একজন খোলা মনের সঙ্গী খুঁজেছিলেন । প্রায়ই বলতেন, আমি একজন অতি সাধারণ বড় মনের মানুষ চাই । চোখ টাটালেও পড়ে নিন – অসুখী লানা টার্নার বিয়ে করেছিলেন ৭টি । এ প্রসঙ্গে তাঁর বিখ্যাত উক্তিটি হচ্ছে – আমি চেয়েছিলাম ১ জন স্বামী ও ৭ সন্তান, কিন্তু আমার জীবনে এর উল্টোটা ঘটে গেছে । লানা টার্নারের ৭ স্বামী হলেও সন্তান হয়েছিলো মাত্র ১টি । কন্যা সন্তান ।
অস্কারের জন্য নমিনেটেড হলেও পাননি । যদিও সবাই এক বাক্যে বলেছিলো- ওই পুরস্কারটি ফিল্মের দেবীরই প্রাপ্য ছিলো ।