![](https://amarkagoj.com/wp-content/uploads/2024/02/image001-1024x498.jpg)
আমার কাগজ প্রতিবেদক
আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিনব্যাপী ‘Relationship between industry and academia for the growth of private security service in Bangladesh’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রবেশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস প্রোপাইটরস এ্যাসোসিয়েশন (বিপিএসএসপিএ)-এর সভাপতি লে. কর্নেল খালিদ আজম, পিএসসি (অব:)।
সভাপতিত্ব করেন এস. এম. আক্তারুজ্জামান, এসডিএস, পিএসসি। সেমিনারে কী-নোট স্পিকার হিসেবে প্রবন্ধ উপসস্থাপন করেন যথাক্রমে-ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আজিজ, পিএসসি (অব:) ও মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মো. গোলাম রসুল।
সেমিনারে অংশ গ্রহণ করেন, প্রাইভেটসিকিউরিটি কোম্পানী ও সংশ্লিষ্ট এ্যাসোসিয়েশন, করপোরেট হাউজ, ব্যাংক, বীমা ও বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক, নিরাপত্তা বিশ্লেষকসহ সংশ্লিষ্ট দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ, এনজিওসমূহের প্রতিনিধি এবং পুলিশ স্টাফ কলেজের অনুষদ সদস্যগণ। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, মাঈনুর রহমান, রেজা আহমেদ চৌধুরী, মো. হাতেম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেক্টর বলেন, সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সিকিউরিটি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সদস্যগণ এগিয়ে এলে কাঙ্খিত স্মার্ট সোসাইটির আলোকে স্মার্ট পুলিশ গঠন করা সম্ভব এবং স্মার্ট পুলিশিং সেবা জনগণের দৌরগড়ায় পৌঁছে দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে পেশাদার নিরাপত্তা সংস্থাসমূহ ও সিভিল সোসাইটির অংশগ্রহণ অপরিহার্য। সিকিউরিটি সার্ভিস সংস্থাগুলো এগিয়ে এলে কলেজের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে। দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট কোর্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিগুলো খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে এ সেক্টরে দক্ষ জনবলের একান্ত প্রয়োজন। পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ লক্ষ্যে অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। প্রাইভেট সিকিউরিটি এবং পুলিশ একই লক্ষ্যে তথা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছে। পারস্পরিক সহযোগিতা এ ক্ষেত্রে সেতুবন্ধনের ভ‚মিকা পালন করতে পারে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল হিসেবে প্রাইভেট সিকিউরিটি সংস্থার কর্মীদের গড়ে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন এ সেক্টরে জনবলের ঘাটতি পূরণ হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠিরজন্য দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগসৃষ্টি হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দুই সেমিস্টার, ৪০ ক্রেডিট সমৃদ্ধ এ কোর্সটি বাস্তবায়নে এসেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মূল্যবান মতামত গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লে: কর্নেল খালিদ আজম বলেন (অব:) বলেন, এটি সময় উপযোগী একটি সেমিনার। এ খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য এ ধরণের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তিনি উল্লেখ করেন, প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি এর উন্নতির স্বার্থে একাডেমি/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির সমন্বয় প্রয়োজন। প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি এর উন্নয়নে সহযোগী হিসেবে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ-এ সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্টের উপর একটি পিজিডি কোর্স চালু করতে যাচ্ছে, যা দক্ষ জনশক্তি তৈরীর ক্ষেত্রে কলেজের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তিনি পুলিশ স্টাফ কলেজের সাথে পরবর্তীতে সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত গবেষণায় সহযোগিতা প্রদান করার আশ^াস প্রদান করেন।
বিকেএমইএ’র এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বিশেস অতিথির বক্তব্যে বলেন যে, প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় তাত্তি¡ক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদেরকে বিদেশীদের উপরনির্ভরশীল থাকতে হয়। এ কোর্স সে ধরণের নির্ভরতা হ্রাস করতে সক্ষম হবে। এ কোর্সের মাধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে উঠবে এবং বিদেশী নির্ভরশীলতা কমবে, একই সাথে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।