আমার কাগজ ডেস্ক
‘মদ বিক্রয় নীতি’ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারবাসের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির একটি আদালত। সোমবার দিল্লির রোজ এভিনিউ আদালত এই রায় দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। শুনানি ও রায় ঘোষণার সময় কেজরিওয়াল উপস্থিত ছিলেন।
‘মদ বিক্রয় নীতি’ দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গত ২১ মার্চ গ্রেপ্তার করে ভারতের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। তার আগে অবশ্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ বার তলব করেছিল ইডি। কোনো বারই সাড়া দেননি তিনি।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ— ২০২১ সালে দক্ষিণ ভারতের একটি মদ প্রস্তুতকারী কোম্পানির সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছিলেন কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়া এবং দলটির কেন্দ্রীয় নেতা সঞ্জয় সিং। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, দিল্লিতে ওই কোম্পানির ব্যবসার সুবিধার জন্য সরকারি মদবিক্রয় নীতিতে পরিবর্তন আনবে দিল্লির রাজ্য সরকার এবং তার বিনিময়ে ১০০ কোটি রুপি ঘুষ দেবে ওই কোম্পানি।
এ অভিযোগে গত বছর মনীষ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিংকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তাদের জিজ্ঞাসাদে কেজরিওয়ালের নামও উঠে আসে।
আম আদমি পার্টির (এএপি) অভিযোগ, কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটিও ‘সাজানো’। ভারতের বিজেপিবিরোধী দলগুলোও কেজরিওয়ারের পাশে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে ইডির অভিযোগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তদন্তে সহযোগিতা করছেন না এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন।
তার বিরুদ্ধে কথিত দুর্নীতির অর্থ কোথায় রয়েছে, তার হদিসও এখনও জানা যায়নি।
সোমবার রায়ের পর আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের কেজরিওয়াল তার গ্রেপ্তারির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি দায়ী করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যা করছেন, তা দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।’
প্রসঙ্গত, ভারতের ইতিহাসে অরবিন্দ কেজরিওয়ালই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যাকে পদে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনিই থাকবেন এবং কারাগার থেকে সরকার পরিচালনা করবেন।