আমার কাগজ ডেস্ক
ইরানের সম্ভাব্য হামলার করণীয় ঠিক করতে মার্কিন কমান্ডারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির বিপ্লবী গার্ডের দুই জেনারেলসহ সাত উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এই হত্যাকাণ্ডের জবাব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে জানিয়েছন, আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ইসরায়েলের সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে ইরান। আর এ হামলায় ব্যবহার করা হতে পারে ১০০টি ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র।
এরমধ্যে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ইরান আরব দেশগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে, যদি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেয় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতেও হামলা চালানো হবে।
ইসরায়েলে ১০০ ড্রোন, কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের তিন কর্মকর্তা বিষয়টি এক্সিওসকে জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ইরান মনে করে দামেস্কের কনস্যুলেটে যে হামলা হয়েছে সেটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ফলে এসব হামলার সঙ্গে আর যুক্ত না হতে তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান।
এক কর্মকর্তা বলেছেন, “ইরানের হুঁশিয়ারি বার্তাটি ছিল এরকম, যারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে আমরা তাদের ওপর হামলা চালাব। তাই আমাদের ব্যাপারে কিছু বলবে না। আমরাও বলব না।”
এই কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ইরান যদি ইসরায়েলের ওপর হামলা চালায় এবং ইসরায়েল যদি ইরানের ওপর পাল্টা হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়— তাহলে তাদের এ ব্যাপারে আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মূলত যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বার্তা দিয়েছে, তাদের কথা ছাড়া ইরানের ওপর কোনো হামলা যেন না চালানো নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ভয় এই দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে যেতে পারেন মার্কিন সেনারা।