আমার কাগজ ডেস্ক
উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েনের ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও ভয়াবহ দিকে মোড় নিতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েওলের সঙ্গে ফোনালাপে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দুই নেতার কথোপকথন শেষে বুধবার (৩০ অক্টোবর) ইয়েওলের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধ ইউরোপ ও ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলতে যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রস্তাব করেছেন ট্রুডো।
কুরস্কে উত্তর কোরীয় সেনাদের উপস্থিতি মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রুশ এই অঞ্চলে আগস্টে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালায় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। কুরস্কের কয়েকশ বর্গকিলোমিটার এলাকা এখন তাদের দখলে রয়েছে।
পেন্টাগন জানিয়েছে, আরও কয়েক হাজার সেনা সেখানে পাঠাচ্ছে পিয়ংইয়ং।
দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে আরও বলা হয়, রাশিয়ায় উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ নিতে পারে আশঙ্কা করছেন ট্রুডো। ফলে ইউরোপ ও ইন্দো প্যাসিফিকের সার্বিক নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, তাদের আশঙ্কার চেয়ে দ্রুত সেনা পাঠাচ্ছে পিয়ংইয়ং। ফলে পরিস্থিতি দ্রুত অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে।
রাশিয়ার হয়ে উত্তর কোরীয় সেনাদের লড়াই করার অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেননি ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তিনি বলেছেন, চলতি বছর জুনে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে একটি অংশীদারিত্ব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। সেই চুক্তি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে কেবল মস্কো সিদ্ধান্ত নেবে। অন্যদের এখানে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই।
গত বুধবার পেন্টাগন বলেছিল, রাশিয়ায় প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়েছে তিন হাজার সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে সর্বশেষ প্রতিবেদনে সংখ্যাটি ১০ হাজার হতে পারে বলে দাবি করেছে তারা।