
আমার কাগজ প্রতিবেদক
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) জানিয়েছে, দেশে গত ১০ বছরে গণপিটুনিতে কমপক্ষে ৭৯২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৬৫ জন। বুধবার (৫ মার্চ) এইচআরএসএস এসব তথ্য জানান।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি গণপিটুনির মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে পরবর্তী সাত মাসে অন্তত ১১৪টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১১৯ জন এবং আহত হয়েছেন ৭৪ জন।
‘গত ১০ বছরের মধ্যে ২০২৪ সালের পরিসংখ্যানে “সবচেয়ে ভীতিকর” অন্তত ২০১টি গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৭৯ জন ও আহত হয়েছেন ৮৮ জন।’
২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে গণপিটুনির ১০০৯টি ঘটনায় কমপক্ষে ৭৯২ জন নিহত ও ৭৬৫ জন আহত হয়েছেন। তবে প্রকৃত গণপিটুনির ঘটনা ও নিহত-আহতের সংখ্যা এর চেয়ে বেশি হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অপরাধী-নিরপরাধী নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের আইনের আওতায় বিচার লাভ এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রয়েছে। সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩৩, ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সব নাগরিক আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী এবং আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না ও অপরাধের জন্য যতটুকু শাস্তি প্রাপ্য তার চেয়ে বেশি বা ভিন্ন কোনো শাস্তি দেয়া যাবে না।’
‘এছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৯ ধারা অনুযায়ী, অপরাধী ধরা পড়লে তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করতেই হবে। এর ব্যতিক্রম করলে দণ্ডবিধির ১৮৭, ৩১৯, ৩২৩, ৩৩৫ ও ৩০৪ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। গণপিটুনিতে কেউ নিহত হলে দণ্ডবিধির ৩৪ ধারা অনুযায়ী গণপিটুনিতে অংশ নেওয়া সব ব্যক্তি সমানভাবে দায়ী হবে।’