আমার কাগজ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামার উচ্চ আদালত বলছে যে, গর্ভের বাইরে থাকা হিমায়িত ভ্রূণগুলোকে মানবশিশু হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। আর উচ্চ আদালতের এমন নির্দেশনা আসার পর আলাবামা ইউনিভার্সিটি সাময়িকভাবে তাদের ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) চিকিৎসা বন্ধ রেখেছে।
বার্মিংহামের আলাবামা ইউনিভার্সিটি (ইউএবি) এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউনিভার্সিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, আমাদের রোগীদের আইভিএফ-এর মাধ্যমে বাচ্চা নেওয়ার প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করবে আদালতের এই সিদ্ধান্ত। আমাদের এটা অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে যে আদালতের এই নির্দেশনার ফলে আইভিএফ চিকিৎসা চালিয়ে গেলে আমাদের চিকিৎসকদের ফৌজদারি অপরাধের শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, তারা শুধু আইভিএফ চিকিৎসাই বন্ধ রেখেছে, ডিম্বাণু পুনরুদ্ধারের বাকি সব কার্যক্রমই আগের মতো চলছে।
ডিম নিষিক্তকরণ এবং ভ্রূণের বিকাশ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে একটি মামলায় রায় আসার পর আলাবামা ইউনিভার্সিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একটি গবেষণাগারে তিন দম্পতির হিমায়িত ভ্রূণ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। একজন রোগী কোনোভাবে সে পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হন দুর্ঘটনাবশত সেগুলোর কয়েকটি মেঝেতে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এরপরই ওই তিন দম্পতি আদালতে মামলা করেন।
তবে নিম্ন আদালত তার রায়ে বলেছিল হিমায়িত ভ্রূণগুলোকে ‘ব্যক্তি’ বা ‘শিশু’ হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না।
তবে নিম্ন আদালতের রায়ের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন উচ্চ আদালত। উচ্চ আদালত বলছে, এক্ষেত্রে ‘দ্য রংফুল অ্যাক্ট অব আ মাইনর অ্যাক্ট’ প্রযোজ্য।
বিচারপতি জে মিচেল বাইবেল থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে একটি মতামতে লিখেছেন, ‘এটি জন্ম নেওয়া ও অনাগত সকল শিশুর জন্য প্রযোজ্য।’
আদালতের রায়ের সমালোচনা করেছে হোয়াইট হাউস এবং ন্যাশনাল ইনফার্টিলিটি অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে যে, ফার্টিলিটি ক্লিনিকগুলোর ওপর খুবই খারাপ প্রভাব পড়বে।