
আমার কাগজ প্রতিবেদক
সকল ধরণের যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ণের ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ হলেও সত্য রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নানাবিধ পরিবহনে হাইড্রোলিক হর্ণের ব্যবহার দেখা যায়। যানবাহনে উচ্চ মাত্রার শব্দ সৃষ্টিকারি এই বিশেষ হর্নটির ব্যবহার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এটি বাজানোর ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না এলাকাভিত্তিক নির্দেশিকাও।
জানা যায়, হাইড্রোলিক হর্ণের কারণে একদিকে যেমন বিকট শব্দ তৈরী করে অন্যদিকে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। ক্ষতিকারণ দিকগুলোর মধ্যে শব্দ দূষণের কারণে মানবদেহে কানে কম শোনা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, অনিদ্রা, অমনযোগিতা, জলজ প্রজাতির প্রাণি ধ্বংস, উদ্ভিদের বৃদ্ধি হ্রাস, বয়স্কদের জন্য অধিকতর বিরক্তির উদ্রেক করা, কোমলমতি শিশুদের জন্য তীব্র যন্ত্রণা, পশুর নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি, হাসপাতালের সম্মুক্ষস্থ রোগীদের জটিলতা বৃদ্ধি, গর্ভস্থ বাচ্চা নষ্ট বা বধির হওয়া, পশুপাখির নিরাপদ আশ্রয় বিঘ্নিত হওয়াসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়া মনোযোগ বিকর্ষণ, কর্ণগহ্বরে দাহ্য, মানসিক ভারসাম্য হারানোসহ হার্ট এ্যাটাক এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত ঘটায় এ সর্বনাশা ‘হাইড্রোলিক হর্ণ’।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের নানাবিধ সৃজনশীল উদ্যোগের পাশাপাশি এ বিভাগের তিন জোনে একযোগে হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারী গাড়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
অভিযানের বিষয়ে ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম জানান, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ সবসময় সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। হাইড্রোলিক হর্ণের বিরুদ্ধে অভিযানও চলমান থাকবে। এ অভিযান জোরালো থেকে জোরালোতর করা হবে।
তিনি বলেন, ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ সম্মানিত নগরবাসীকে স্বস্তি প্রদানে বদ্ধ পরিকর।