আমার কাগজ ডস্কে
ফুলে ফুলে ঘেরা মরুভূমি! বৃষ্টির পর ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে চিলির আতাকামা মরুভূমি। আর সেই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে এসেছে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের দল। যেদিকেই দু’চোখ যায় শুধু সাদা ও বেগুনি রঙের ফুল। যেন এই দিগন্ত ছোঁয়া নীল-লোহিত বর্ণে বদলে গেছে মরুর রূপ।
চিলির আতাকামা বিশাল মরুভূমিতে ফুলেল সুবাস। দেশটির উত্তরাঞ্চলের বালুময় বিশাল অনুর্বর এই বিরানভূমি, পৃথিবীর অন্যতম শুষ্ক স্থান। এরপরও প্রায় প্রতিবছরই এই অনুর্বর এলাকায় সাদা ও বেগুনি রঙের ফুলে ছেয়ে যায়।
যে দিকে দু’চোখ যায় শুধু দেখা যায় বিছানো হয়েছে রক্তনীল রঙের ফুলেল কার্পেট। এই দিগন্ত ছোঁয়া নীল-লোহিত বর্ণে বদলে গেছে মরুর রূপ।
এই মৌসুমি ফুলগুলো দেখা ও উপভোগ করা আমাদের এক বিশেষ অধিকার। এই ঋতুতে এই জায়গায় হাঁটার এবং এর সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পাওয়াটা আসলেই চমৎকার।
ফুলের মরুভূমি আতাকামায় প্রায় প্রতি বছরই বিভিন্ন ফুলে ছেয়ে যায়। বৃষ্টি ও সঠিক তাপমাত্রার সমন্বয় হলেই বীজগুলো সজীব হয়ে উঠে।
অস্বাভাবিকভাবে বসন্ত মৌসুমের আগেই ফুটে গেছে বিশেষ এই ফুলটি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এল নিনো প্রভাবে বৃষ্টিপাতের কারণেই এমনটি ঘটেছে।
চিলির পন্টিফিকাল ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, গত ৪০ বছরে প্রায় ১৫টি প্রস্ফুটনের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া চিলির জাতীয় সংস্থা ফরেস্ট্রি করপোরেশন-সিওএনএএফের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রধান সিজার পিজারো বলেছেন, ফুলগুলো এখনো এতটা বিস্তৃত হয়নি, আরও বৃষ্টি পেলে বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।
জুলাই মাস শুরু হয়েছে এবং আমরা আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও বৃষ্টির আশা করছি। ফলে আমরা পূর্ণ প্রস্ফুটিত ফুলগুলো এই বিশাল অঞ্চল জুড়ে দেখতে পাবো।
এর আগে চিলির সরকার ২০২২ সালে আতাকামা মরুভূমিতে নতুন একটি জাতীয় উদ্যান তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। যা মূলত এই বিরল ফুলগুলো সুরক্ষার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।