মো. ফারুক
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ ভাসমান দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মাঝে শতাধিক কম্বল বিতরণ করেন তিনি। মধ্যরাতে নির্ঘুম রাত জেগে শীতার্ত মানুষকে খুঁজে তাদের গায়ে মমতার পরশ একটি করে শীতবস্ত্র (কম্বল) জড়িয়ে দেন সত্যজিৎ কুমার ঘোষ।
উপজেলার সরারচর রেলস্টেশন, সরারচর বাজার, বাজিতপুর রেলস্টেশন, ভাগলপুরের রশি মার্কেট, বাজিতপুর বাজারসহ শহর এলাকায় নৈশপ্রহরী, নিরাপত্তা প্রহরী, অসহায়, বাস্তুহারা এবং প্রতিবন্ধীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন তিনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছ থেকে কম্বল পেয়ে শীতার্তরা খুশি হয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, গত কয়েকদিনে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আমি রাতের বেলা বাজিতপুর উপজেলার কয়েকটি বাজার ও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গরীব-অসহায় সম্বলহীন মানুষগুলোর দুর্দশা উপলদ্ধি করেছি। এই তীব্র শীতে দুঃস্থ ও শীতার্ত মানুষদের একটি গরম কাপড় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, একটু উষ্ণতার জন্য আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেছি।
কম্বল বিতরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বাজিতপুর বাজার ও সরারচর বাজারের টহল পুলিশ/নৈশপ্রহরী/নিরাপত্তা প্রহরীদের সচেতনতামূলক কিছু পরামর্শ দেন। তিনি বাজারে যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা, চুরি-ডাকাতি এবং দুর্ঘটনার মতো কিছু ঘটলে সাথে সাথে পুলিশকে জানানোর কথা বলেন। প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন দিতে অনুরোধ করেন। তিনি নিরাপত্তা প্রহরীদের নৈশ্যকালীন টহল পুলিশের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার পরামর্শও দেন। সত্যজিৎ কুমার ঘোষ উপজেলার বাজারসমূহের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার স্বার্থে মূল প্রবেশদ্বারে সিসি টিভি স্থাপনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্ববান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাগলপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মোস্তফা কামাল, বাজিতপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেন, বাজিতপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ মানিক, মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, দৈনিক আমার কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক মো. ফারুক, দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার সাংবাদিক মোহাম্মদ আব্দুল ছালিম।