
আমার কাগজ প্রতিবেদক
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেয়া গেজেটের বৈধতা নিয়ে এবং শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা চেয়ে রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে তার শপথ নিতে আর কোনো আইনি বাধা রইল না।
এর আগে, গতকাল বুধবারও (২১ মে) এ রিটের শুনানি হয়, তবে সেদিন আদালত কোনো আদেশ দেননি। পরে বৃহস্পতিবারের জন্য আদেশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
আদালতে ইশরাক হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন।
গত ১৪ মে ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়। আবেদনটি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ। তার আইনজীবী ছিলেন কাজী আকবর আলী। রিটে শুধু শপথ না পড়ানোর অনুরোধই নয়, বরং যিনি ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেছেন—সেই ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন তখন প্রায় পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
তবে ওই নির্বাচনের ফল বাতিল করে গত ২৭ মার্চ ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। পরে ২২ এপ্রিল এ রায়ের ভিত্তিতে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নেওয়া হয় এবং ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন ইশরাককে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে।
এদিকে গেজেট প্রকাশের পরও শপথ না হওয়ায় ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা কয়েকদিন ধরে নগর ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। গতকালও (২১ মে) তারা প্রথমে মৎস্য ভবনের সামনে এবং পরে কাকরাইলে অবস্থান নেন। এতে আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। রাতে ইশরাক হোসেন নিজেও এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।