
ফেনী প্রতিনিধি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেনী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘আলোকিত ফেনী’ আয়োজিত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল আউয়াল মিন্টু এ মন্তব্য করেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, এখনো দেশে মব ভায়োলেন্স চলছে, গণপিটুনিতে মানুষ মারা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এই মুহূর্তে দেশে কেউ নিরাপদ নয়। তবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে তারেক রহমান দেশে আসবেন।
নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আছে কি না, জানতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘যখন দেশে গণতান্ত্রিক সরকার থাকে না, সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তখন সবকিছু নিয়েই শঙ্কা থাকে। সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো অপশন নেই, তারপরও তারা শপথ নিয়েছে—আমরা সেটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলে নির্বাচনসহ সবকিছু নিয়েই শঙ্কা থেকেই যায়।’
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের পরাজয় ও জাকসুর ভোটে বর্জন প্রসঙ্গে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে যে–ই জিতবে, সে–ই সরকার গঠন করবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ছোটবেলা থেকেই জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে হবে। সমাজ পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বাবা-মাকে বন্ধুসুলভ হতে হবে। দেশে বৈষম্য বাড়ছে, বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে ও পরিবেশে বৈষম্য বাড়ছে। মেধার বিকাশ ঘটাতে হলে এসব বৈষম্য দূর করতে হবে।
শিক্ষাবিদ তাইবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, দৈনিক আমার কাগজ সম্পাদক ফজলুল হক ভুইয়া রানা, ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন, দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, দৈনিক নয়া দিগন্তের সাহিত্য সম্পাদক জাকির আবু জাফর, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক প্রমুখ।
পরে অতিথিরা প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল ও মাদ্রাসার পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে সনদ ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন।