নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর শিবপুরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী ও বিভিন্ন পণ্য বোঝাই একটি কাভার্ড ভ্যান আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় কাভার্ড ভ্যানের চালক জসিম (৪৫) ও কাভার্ড ভ্যান ভাড়া নেওয়া মুকুল মিয়া (৫৭) নামে ২ জনকে আটক করা হয়।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার ঘাসিদিয়া এলাকা থেকে কাভার্ড ভ্যানসহ ওই ২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটককৃত চালক জসিম উদ্দিন বরগুনা সদর উপজেলার কাঠালতলী গ্রামের ইদ্রিস খানের ছেলে এবং কাভার্ড ভ্যান ভাড়া করা মুকুল মিয়া বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাবালখালী গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে।
নরসিংদী ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়েছি সীমান্ত এলাকা থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী ও বিভিন্ন পণ্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান স্যারের নির্দেশক্রমে আমরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া এলাকার শহীদ মিনার নামক স্থানে অবস্থান নেই। এ সময় ঢাকাগামী মাঝারি আকারের একটি কাভার্ড ভ্যানের গতিরোধ করলে এতে থাকা চালক ও অপর ব্যক্তির আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। এ সময় কাভার্ড ভ্যানটি পিছনের ঢালা খুলে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী ও বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। পরে কাভার্ড ভ্যানসহ চালক ও অপর ব্যক্তিকে আটক করে নরসিংদী ডিবি পুলিশের কার্যালয়ের নিয়ে আসা হয়। পরে আপনাদের (গণমাধ্যম কর্মীদের) সামনে ভেতরে থাকা বিভিন্ন কার্টন খুলে দেখি।
ওসি এস এম কামারুজ্জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া ওইসকল প্রসাধনী ও পণ্য সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ এলাকা থেকে ঢাকার চকবাজারে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। পারভেজ নামে চকবাজারের একব্যক্তির সাথে মোবাইলে ভাড়ার চুক্তি হয়। সে অনুসারে এসব পণ্য শান্তিগঞ্জ থেকে কাভার্ড ভ্যানে বোঝাই করে ঢাকার চকবাজার নিয়ে যাচ্ছে। তবে এসকল প্রসাধনী সামগ্রী ও পণ্যের কোনো চালান কপি বা রশিদ দেখাতে পারেনি আটক ব্যক্তিরা।
আটকদের ভারতীয় এসকল প্রসাধনী সামগ্রী ও পণ্যের কাভার্ড ভ্যানসহ আনুমানিক মূল্য ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা হতে পারে বলে জানা জানান ওসি।
ওসি বলেন, আটকদের কাছ থেকে উদ্ধার দুটি মোবাইল নম্বর থেকে এনআইডি বের করে এ চক্রের মূল হোতাকে খুঁজে বের করা হবে। আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হবে।