আমার কাগজ প্রতিবেদক
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত অংশে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন উদ্বোধন করে এ রেললাইন রক্ষায় জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই এ কাজগুলো করা সম্ভব হয়েছে। এটা জাতীয় সম্পদ, এটা জনগণকে রক্ষা করতে হবে।
“জনগণকে বলব, সন্ত্রাসী বিএনপি জামায়াতের হাত থেকে যেন নিজেদের রক্ষা করে, কারণ তারা ধ্বংস করতে জানে, এরা সৃষ্টি করতে জানে না, এরা ধ্বংস করতে জানে, এরা কিছু দিতে জানে না।”
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দুপুরে আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।
এর মাধ্যমে ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পুরো অংশ ডাবল লাইনে উন্নীত হল। ফলে এই পথে আর কোনো ট্রেনকে ক্রসিংয়ে পড়তে হবে না বলে যাত্রার সময় কমে আসবে।
কুমিল্লা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেলপথ সিঙ্গেল লাইনের হওয়ায় এতদিন ক্রসিংয়ে পড়ে বিলম্বিত হত অনেক ট্রেনের যাত্রা। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেত। আর তাতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।
এখন এই ৭২ কিলোমিটার রেলপথ ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন হওয়ায় পুরো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে আর কোনো ট্রেনকে ক্রসিংয়ে পড়তে হবে না। অনির্ধারিত যাত্রা বিরতিতে সময়ও নষ্ট হবে না।
তবে বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত যেন এই রেলের ক্ষতি করতে না পারে সে ব্যাপারে জনগণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এরা নিজেদের আখের গোছাতে জানে, লুটপাট করতে জানে, দুর্নীতি করতে পারে, মানিলন্ডারিং করতে পারে। আর কিছুই জানে না। তাদের কাছ থেকে জেনো দেশবাসী রক্ষা পায়। আবার যদি রেললাইনে আগুন দেয়, গাড়িতে আগুন দেয়, মানুষের ক্ষতি সাধান ছাড়া আর কিছু জানে না। সবাই সচেতন থাকবেন।”
এই রেল লাইন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী পতাকা নাড়ালে অপর প্রান্তে ট্রেন চলতে শুরু করে। সেসময় তিনি বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন উদ্বোধন ঘোষণা করছি।”
ট্রেন চালকদের সতর্ক থাকার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন উদ্বোধনের পর এই লাইনে ট্রেনের গতি হবে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার। এই লাইনে রেলের গতি এনে দিয়েছি। চালকদের সতর্ক থাকতে হবে যেন একটু সাবধানে চালায়, কোন জায়গায় কতটুকু দ্রুত গতিতে চলবে, সেটা ভাবতে হবে।
“এটি আধুনিক ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন, এর মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম সবটুকু লাইনই ডবল লাইনে উন্নিত হল। এতে করে যাত্রীরা আরাম আয়েশে চলতে পারবে। পরিবহন কষ্টও কমে যাবে, আগের চেয়ে এক ঘণ্টা সময় কম লাগবে। কক্সবাজার পর্যন্ত কাজ প্রায় শেষের দিকে, ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে পারবে।”