
ছবি- সংগৃহীত
স্পোর্টস ডেস্ক
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় গেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। লঙ্কা সফরে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছিল টাইগাররা। তবে পরের ম্যাচেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় লাল-সবুজেরা। কিন্তু সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজও খোয়াল মাহমুদুল হাসান জয়রা।
তবে এদিন সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগেই বাবার মৃত্যু সংবাদ পান লঙ্কান ব্যাটার পবন রতনায়ক। এরপরও খেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় লঙ্কানরা। দলীয় ১ রানের মাথায় ডাক মেরে (৩ বলে ০) আউট হন ওপেনার সোহান ডি লিভেরা। এরপর বলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে রান তোলার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার শেভন দানিয়েল। ২৫ বলে ২৭ রান করা এই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রিপন মণ্ডল।
এরপর লঙ্কানদের হাল ধরেন পবন রতনায়ক ও নভোদ পারানাভিথানা। ৫৬ বলে ৮৫ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস খেলেন পবন। শেষ পর্যন্ত রিশাদ হোসাইনের বলে রিপন মণ্ডলের হাতে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই মারকুটে ব্যাটার।
এ প্রসঙ্গে লঙ্কান ক্রীড়া সাংবাদিক দানুশকা আরবিন্দের ভাষ্য, পবন ম্যাচ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন তার বাবার জন্য। তার বাবা চাইতেন ছেলেকে সফল ক্রিকেটার হিসেবে দেখতে। বাংলাদেশ এইচপি দলের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ইনিংসটি এই ব্যাটার উৎসর্গ করেছেন তার সদ্য বিদায়ী পিতাকে।
ম্যাচ শেষ করেই বাড়িতে বাবার শেষকৃত্যে যান পবন। জানা গেছে, চার দিনের সিরিজের জন্য আবারও দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।
উল্লেখ্য, রোববার (২২ অক্টোবর) ডাম্বুলায় টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ৪৭ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে ২২৩ রান তুলে সফরকারীরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ বলে ৭৯ রান করেন শাহাদাত হোসেন দিপু।
জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩১ ওভার ২ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা। ওয়ান ডাউনে নামা পবন রতনায়ক ৫৬ বলে ৮৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে সিরিজ জয়ে বড় অবদান রাখেন।