আমার কাগজ ডেস্ক
দু’দিনব্যাপী ভারত-বাংলাদেশ কৌশলগত সংলাপ বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও অনন্ত অ্যাম্পেন সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে ২২ ও ২৩ জুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সিপিডি-অনন্ত অ্যাম্পেন সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে এটি হবে বেসরকারি পর্যায়ে (ট্র্যাক-২) দ্বিতীয় সংলাপ। প্রথম সংলাপটি গত ২০২২ সালের ১৮ মে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয় বলে সিপিডি থেকে জানানো হয়।
সিপিডি বলছে, দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য এবারের সংলাপে সমসাময়িক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে বিকাশমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে বিবর্তমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বহুমুখী যোগাযোগব্যবস্থা যেমন সড়ক যোগাযোগ, রেলপথ, নদী ও উপকূলীয় বন্দরব্যবস্থা, পানি বণ্টন এবং ডিজিটাল কানেকটিভিটি। এ ছাড়াও যেসব ইস্যুতে মতবিনিময় হবে তার মধ্যে রয়েছে আর্থিক খাতে সহযোগিতা, প্রযুক্তি স্থানান্তর, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা। বর্তমান সময়কালে যখন বাংলাদেশ ও ভারত উভয়দেশই জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়া যাচ্ছে তেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই সংলাপে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বিকাশমান বাস্তবতার আলোকে পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ করে দেবে। এর মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয়াদিকে কিভাবে আরেকটি নতুন পর্যায়ে নেয়া যায়, সেসব বিষয়ে সংলাপে নিজ নিজ চিন্তার ভিত্তিতে গঠনমূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সাথে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপরে সংলাপ আয়োজন করে আসছে। ইতঃপূর্বে সিপিডি ভারতের অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যৌথভাবে ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এ ধরনের মোট ১৬টি সংলাপ ঢাকা এবং দিল্লিতে আয়োজন করে।
নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য এই সংলাপে উভয় দেশের নাগরিক ও ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, নীতিবিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করবেন যথাক্রমে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো: শহীদুল হক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ম তামিম এবং বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি শামস মাহমুদ।