
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। পুরোনো ছবি
আমার কাগজ প্রতিবেদক
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর জীবন এক মহাকাব্য। ভালোবাসা ও মমতায় তিনি ছিলেন অসাধারণ, প্রতিবাদেও ছিলেন অসীম সাহসী। এ জন্য মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অসংখ্যবার জেল খেটেছেন। শাসকের রক্তচক্ষুকে তিনি কখনো ভয় করেননি। বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের সঙ্গে কখনোই আপস করেননি। শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের জন্য লড়াই করেছেন এবং তিনি ছিলেন মানবাধিকার আন্দোলনের একজন মহান পথিকৃৎ।’
আজ রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শ ও দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমরা শিশুদের গড়ে তুলতে পারলে আমরা এক উন্নত জাতিতে পরিণত হতে পারব। উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে শিশুদের মানবিক গুণাবলী ও ব্যক্তিত্বের বিকাশে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সম্মানিত সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম ও ড. তানিয়া হক, সচিব সেবাষ্টিন রেমা, পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সভায় কমিশনের সাবেক সম্মানিত সদস্য নিরূপা দেওয়ান এবং বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী শীপা হাফিজা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন।