
আমার কাগজ প্রতিবেদক
গতকাল মঙ্গলবার রাতে জারি করা এক অধ্যাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত গেজেটে এসব নেতাকে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০২২’-এ তাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি থাকলেও নতুন অধ্যাদেশে তা বাতিল করে ‘সহযোগী’ করা হয়েছে। একইভাবে প্রবাসী সরকার, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, প্রবাসী পেশাজীবী, সাংবাদিক ও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদেরও মুক্তিযোদ্ধা থেকে ‘সহযোগী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী, কেবল অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা বা প্রশিক্ষণ নিয়ে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরাই বীর মুক্তিযোদ্ধা হবেন। যুদ্ধকালীন সরকার ও সহায়ক ব্যক্তিবর্গ এখন ‘সহযোগী’ হিসেবে গণ্য হবেন।
এর ফলে ‘লাল মুক্তিবার্তা স্মরণীয় যারা বরণীয় যারা’ তালিকার ১,৩৬১ জনসহ ৩৬টি শ্রেণির অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি হারাচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে এর আগেও তীব্র সমালোচনা হয়েছিল, তবে শেষপর্যন্ত গেজেট আকারে অধ্যাদেশ প্রকাশিত হলো। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিগগিরই বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।