
স্পোর্টস ডেস্ক
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে যেন ফিরে এল ১৯৯৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের সেই স্মৃতি! অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে টানা দুই গোল করে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনে সেমিফাইনালে উঠল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
প্রথমে এগিয়ে গিয়েও ১০ জনের লিয়োঁর কাছে ৪-২ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল ইউনাইটেড। অতিরিক্ত সময়ে আরও দুই গোল হজম করে যখন বিদায়টা একরকম নিশ্চিত, তখনই শুরু হল নাটকীয়তা। ১১৩ মিনিটে ৪-২ গোলে পিছিয়ে পড়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ঠিক তখনই দেখাল ইউরোপিয়ান ফুটবলের এক অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন। অতিরিক্ত সময়ে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ ৫-৪ গোলে জিতে (মোট ৭-৬ ব্যবধানে) ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে উঠে গেল তারা।
খেলার ১১৪তম মিনিটে ক্যাসেমিরোর ওপর ফাউল হলেও প্রথমে পাত্তা দেননি রেফারি। তবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (VAR) হস্তক্ষেপে পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। সেখান থেকেই গোল করে ব্যবধান কমান ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
প্রথমার্ধে উগার্তের গোলে এগিয়ে যায় ম্যানইউ। এরপর দালোতের আরেকটি গোলে ২-০ তে বাড়ে ব্যবধান। কিন্তু লিয়োও ফিরে আসে দারুণভাবে। দ্বিতীয়ার্ধে করেন্টিন টলিসো ও নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর ৬ মিনিটের ব্যবধানে করা দুই গোলে ম্যাচে সমতা ফেরে।
টলিসো লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেও ১০ জনের দল হিসেবেও দারুণ খেলতে থাকে লিয়োঁ। অতিরিক্ত সময়ে রায়ান শেরকির অসাধারণ গোলে আবার এগিয়ে যায় তারা। এরপর লাকাজেত পেনাল্টি থেকে আরও একটি গোল করে লিয়োঁর লিড বাড়ান।
কিন্তু তখনই শুরু হয় ইউনাইটেডের জাদু। ক্যাসেমিরো পেনাল্টি আদায় করলে ব্রুনো ফার্নান্দেজ গোল করে ব্যবধান কমান। এরপর ১২০তম মিনিটে তরুণ কোবি মেইনু দারুণ এক গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান।
সবার চোখ যখন টাইব্রেকারের দিকে, তখন ইউনাইটেডের শেষ থ্রো ছিল হ্যারি ম্যাগুইরের হেড। মজার ব্যাপার, তখন তিনি খেলছিলেন স্ট্রাইকার হিসেবে! ক্যাসেমিরোর লব থেকে হেডে গোল করে তিনি ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন।
সেদিন স্ট্যান্ডে উপস্থিত ছিলেন কিংবদন্তি সাবেক কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনও। তার সামনেই দল দেখাল ঠিক তার সময়ের মতোই ‘ফার্গি টাইম’ ম্যাজিক।
এই জয়ের ফলে রুবেন আমোরিমের ইউনাইটেড এখন সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এটি ছিল ইতিহাস গড়া এক রাত, আর ইউনাইটেড সমর্থকদের মনে থাকবে অনেকদিন।