
পরীক্ষার্থীর কান থেকে ডিভাইস বের করছেন চিকিৎসক। ছবি: সংগৃহীত
যশোর প্রতিনিধি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে এক পরীক্ষার্থীর কানের ভেতর ঢুকে যাওয়া ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বের করেছেন চিকিৎসক। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার যশোর সরকারি এমএম কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আটক ওই ব্যক্তির নাম জাহিদ হাসান। তিনি যশোর সদর উপজেলার নওদাগ্রামের আবু দাউদ হোসেনের ছেলে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এম এম কলেজের নতুন বিজ্ঞান ভবনের ১০৫ নম্বর কক্ষে জাহিদ পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু উত্তরপত্র পেয়ে বসেই ছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় হলেও তিনি উত্তরপত্রে কিছুই লিখছিলেন না। ফলে উত্তরপত্র দেখে সন্দেহ হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। এরমধ্যে একটি শব্দ হওয়ায় জাহিদের জালিয়াতি নজরে আসে।
প্রাথমিক স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, জাহিদের কানের মধ্যে একটি ডিভাইস ছিল। আরেকটি ছিল পকেটে। তবে, বাইরে থাকা একটি চক্র কথা দিয়েছিল ওই ডিভাইসের মাধ্যমে একজন প্রশ্নের উত্তরগুলো জানিয়ে দেবেন জাহিদকে। তবে উত্তর আসতে বিলম্ব হওয়ায়, জাহিদ অপেক্ষা করছিল।
এরমধ্যে ডিভাইসে সমস্যা ভেবে চাপাচাপি করতে গিয়ে পুরোটা কানের ভেতরে ঢুকে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে পুলিশ জাহিদকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকরা সাঁড়াশি দিয়ে কানের ভেতর থেকে ডিভাইসটি বের করেন। রাতে এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছিল।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আটক পরীক্ষার্থীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে কানের ভেতর থেকে ডিভাইসটি বের করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো চক্র জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেন খান বলেন, তাৎক্ষণিক ওই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টি তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।