মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা-৭ এ থাকা একটি ট্রাক পাঁচ দিন পর নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া নয়টি ট্রাকের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি ফেরি, খোঁজ মেলেনি ফেরির সহকারী ইঞ্জিনচালক হুমায়ুন কবিরেরও।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে ঘন কুয়াশা ও তীব্র বাতাসের কারণে উদ্ধার কাজ শুরু করতে দেরি হয়। এরপর পদ্মা নদীতে ডুবে থাকা একটি ট্রাকের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে সেটি উদ্ধার করা হয়।
যদিও তীব্র শীত, কুয়াশা আর বাতাসের কারণে উদ্ধারের স্বাভাবিক কার্যক্রম কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।
এদিকে, ফেরি উদ্ধারে হামজা ও রুস্তম ব্যর্থ হওয়ার পর পাটুরিয়াতে আসা প্রত্যয়ও একা ফেরি উদ্ধার করতে পারছে না। এজন্য এবার নারায়ণগঞ্জ থেকে আসছে ঝিনাই-১। এটি পৌঁছালে ফেরি উদ্ধারের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেরি উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ডুবে থাকা রজনীগন্ধার নিচ দিয়ে লিফটিং পদ্ধতিতে সলিং ওয়্যার টানার কাজ করেছে প্রত্যয়। বিকেল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-বাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা সলিংয়ের কাজ করেছে।
কিন্তু প্রত্যয়ের একার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব না জানিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা জানান, ‘এ কাজে সহায়তার জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ঝিনাই-১ আসছে। এই জাহাজটি এসে পৌঁছালেই ডুবে থাকা ফেরিটি উত্তোলনের মূল কাজে যাবে বিআইডব্লিউটিএ।’
আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, ‘হামজা-রুস্তম এত বড় লোড নিতে পারবে না বলে তারা কোনো কাজ করছে না। তবে বড় জাহাজ ঝিনাই-১ এলে সম্মিলিতভাবে ডুবে থাকা ফেরি রজনীগন্ধা তোলার কাজ করবে।’
যদিও বিআইডব্লিউটিএর সবচেয়ে বড় উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। যার সক্ষমতা ২৫০ টন। আর ডুবে থাকা ফেরির ওজন ২৮০ টন। এজন্য ১২০ টনের সক্ষমতার দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজা শুরুতেই ব্যর্থ হয়েছে। এখন পথে আছে ঝিনাই-১।