আমার কাগজ প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- আগামী ৭ জানুয়ারি রোববার ৩০০ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কমিশনের হাতে কিছু ক্ষমতা থাকে। বিবিসি বাংলা এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে।
তফসিল ঘোষণার পর আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন চাইলে প্রশাসনের মধ্যে রদবদল আনতে পারে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং তাদের অধস্তন কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা ছাড়া বদলি করা যাবে না।
অন্যদিকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে বদলি করার প্রয়োজন হলে করলে নির্বাচন কমিশন লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবে। এরপর যত দ্রুত সম্ভব সে বদলি কার্যকর করতে হবে।
প্রার্থিতা বাতিল
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যদি কোন প্রার্থী নির্বাচনী আইন ও আচরণ বিধির গুরুতর লঙ্ঘন করেন, সেক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়টিতে নির্বাচন কমিশনের পুরোপরি এখতিয়ার আছে বলে উল্লেখ করেন নির্বাচন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম। কিন্তু বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ধরনের কোন উদারহণ নেই বলে উল্লেখ করেন পর্যবেক্ষরা।
রিটার্নি অফিসারকে নিয়ন্ত্রণ করা
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যদি কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আইন ও আচরণ বিধির গুরুতর লঙ্ঘন করেন, সেক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে উল্লেখ করা আছে, একজন রিটার্নিং অফিসারকে নির্বাচন কমিশন যেভাবে দায়িত্ব দেবে, তিনি সে দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য থাকবেন।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীমের ভাষায় একজন রিটার্নিং অফিসার একটি এলাকায় ‘অল ইন অল’ বা সর্বেসর্বা। তার তত্ত্বাবধানের নির্বাচন পরিচালিত হয়।
ফলাফল বাতিল
শত অনিয়মের পরও ভোট সম্পন্ন হলে এবং ত্রুটিপূর্ণ রেজাল্ট বৈধতা দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত ফলাফল কমিশনের কাছে গেজেট প্রকাশের জন্য পাঠালে ওই ফলাফল বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে সংস্থাটির।
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে গাইবান্ধায় একটি আসনে উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে সেদিনই ভোটগ্রহণ বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের এই ক্ষমতা বহাল আছে।
নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বলে চলতি মাসে সদ্য সমাপ্ত লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে।