
বাজিতপুর প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার গুরই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এবং মানহানিকর প্রচারণার প্রতিবাদে গুরই নতুন বাজারে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে আবু তাহের বলেন, “প্রায় এক মাস আগে ফাতেমা বেগম ও তার বড় ভাই শামসুল হকের মধ্যে জমি বাটোয়ারা নিয়ে একটি সালিশ বসে। উক্ত সালিশে উপস্থিত সবার সম্মতিক্রমে ফাতেমা বেগমের জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শামসুল হক নিকলী থানায় আমার নামে একটি মিথ্যা অভিযোগ করেন। তদন্তে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় পুলিশ তা বাতিল করে।”
তিনি আরও বলেন, “উক্ত ঘটনার জের ধরে শামসুল হক উপজেলা বিএনপির কাছে একটি ভিত্তিহীন স্মারকলিপি দেয়, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওই সালিশে প্রায় ৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু সে শুধুমাত্র আমার নাম টেনে এনেছে কারণ আমি সম্প্রতি মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করেছি। এতে অনেকের অবৈধ আয়ে বিঘ্ন ঘটেছে।”
সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের দাবি করেন, “আমি পাঁচ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কেউ বলতে পারবে না যে আমি বিচার সালিশ করে এক কাপ চাও খেয়েছি। আমি আদর্শ রাজনীতি করি, বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তাহলে দলে আমাকে ডাকলেই হতো।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল মেম্বার বলেন, “শামসুল হক আমার শ্যালক, কিন্তু তিনি খারাপ প্রকৃতির একজন মানুষ। আমি নিজে একাধিক সালিশে উপস্থিত থেকেছি। সে আওয়ামী লীগের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে সালিশের সিদ্ধান্ত মানতো না। আবু তাহের একজন সৎ মানুষ, তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দুঃখজনক।”
সালিশের ভিকটিম ফাতেমা বেগম বলেন, “শামসুল হক আমার বড় ভাই হলেও, চেয়ারম্যান সাহেবের বিরুদ্ধে সে যা বলছে তা মিথ্যা, আবু তাহের সাহেবের কোনো দোষ নেই।”
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, আবু তাহেরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এবং মানহানিকর প্রচারণার বিচার হওয়া উচিত। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।