
আমার কাগজ ডেস্ক
আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে মহানগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনেক পুলিশ সদস্যই ছুটি পাননি। বাড়ি যেতে পারেননি। এটাই পুলিশের সেবা। যে সব পুলিশ সদস্য পরিবার-পরিজন ছাড়া ঢাকায় ঈদ করবেন, তাদের সঙ্গে সবাই মিলে একত্রে ঈদ উদযাপন করবো, বলেছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
সোমবার (২৬ জুন) রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে প্রটেকশন বিভাগের সদস্যদের সঙ্গে গ্র্যান্ড রোলকলে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটি প্রটেকশন বিভাগের সদস্যদের করতে হয়। সব ভিভিআইপি ও ভিআইপির নিরাপত্তা দিতে হয়। পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হইনি। সামনের দিনগুলোতেও একইভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ফারুক বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন। পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশ এখন ইউনিফর্ম সার্ভিসের দিক থেকে সবচেয়ে বড় ইউনিট। ইউনিফর্ম আমাদের মর্যাদা দিয়েছে, ক্ষমতা দিয়েছে। আমরা জনগণের সেবক, জনগণের সেবা করবো, ক্ষমতা দেখাবো না। কিন্তু আমাদের ওপর যদি কোনো আঘাত আসে তাহলে কাউকে ছাড় দেবো না।
তিনি বলেন, করোনাকালীন পুলিশের প্রতিটি সদস্য জনসাধারণকে যে সেবা দিয়েছে, তার জন্য বিশ্বের কাছ থেকে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশের গৌরবউজ্জ্বল অতীত রয়েছে, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রেখে কাজ করতে হবে। সামনের দিনগুলোতে সবাই টিম ডিএমপি হিসেবে একত্রে কাজ করবো। যে কোনো চ্যালেঞ্জকে অতীতের ন্যায় একত্রে মোকাবিলা করবো।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, প্রটেকশন অ্যান্ড ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার হামিদা পারভীন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও প্রটেকশন বিভাগের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।