
আমার কাগজ ডেস্ক
গাজার উত্তরে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী লরির জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় অন্তত ৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হামাস-পরিচালিত গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) দাবি, ইসরায়েলি সীমান্ত অতিক্রম করে গাজায় প্রবেশ করা তাদের ২৫টি ট্রাকের বহর ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড়ের মধ্যে পড়ে। এ সময় বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়।
অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ মোকাবেলায় ‘সতর্কতামূলক গুলি’ ছুড়েছিল। নিহতের সংখ্যা নিয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের প্রতি আপত্তি জানিয়েছে আইডিএফ।
এদিন গাজার অন্যত্র ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ আরও ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই গুরুতর। শুধুমাত্র রোববারই গাজায় ইসরায়েলি গুলি ও বিমান হামলায় ৮৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
উত্তর গাজার আহতদের বেশিরভাগকেই নেয়া হয় শিফা হাসপাতালে। হাসপাতালটির পরিচালক ড. হাসান আল-শায়ের বলেন, “হাসপাতালের সক্ষমতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে, আমরা অনেককে ফিল্ড হাসপাতালে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছি।”
হাসপাতালের বাইরে এক নারী বিবিসিকে বলেন, “পুরো জনগোষ্ঠী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। শিশুরা খাওয়ার কিছু না পেয়ে মারা যাচ্ছে। মানুষ এখন শুধু লবণ আর পানি খেয়ে বেঁচে আছে।”
চলতি বছরের মে মাস থেকে প্রতিদিনই গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের হামলার শিকার হতে হচ্ছে। শনিবার দক্ষিণ গাজার দুটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন অন্তত ৩২ জন।
এদিকে গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ শহরের বাসিন্দা ও শরণার্থীদের যত দ্রুত সম্ভব আল-মাওয়াসির উপকূলে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। অথচ এই এলাকায় আইডিএফ কখনোই স্থল অভিযান চালায়নি।