আমার কাগজ ডেস্ক
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিপাতের প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তার পানি। এতে প্লাবিত হচ্ছে লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে যাচ্ছে ধান ও পাটখেতসহ ফসলি জমি। এতে বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
আজ বুধবার (১৯ জুন) সকালে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার পানি ছিল, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
মহাসড়কে অটোরিকশা প্রসঙ্গে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বাড়ায় সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, সর্দারপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, পাটিকাপাড়া, সিংগীমারী এবং সিন্দুর্না ইউনিয়ন এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, গজলডোবায় পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে জানান, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারী থেকে ভারী এবং কিছু জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদ নদীর পানি বাড়ছে। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ইত্যাদি নদ-নদীসমূহের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।