আমার কাগজ প্রতিবেদক
আগামীকাল বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় তফসিল নিয়ে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, নির্বাচন কমিশন ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই ইসিতে এনআইডি সংশোধনের জন্য ব্যক্তিগত শুনানি বন্ধ করা হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল বুধবার (১৫নভেম্বর) বিকেল ৫টায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তফসিল নিয়ে আলোচনা হবে। তফসিল ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত হলে জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা হবে। প্রথমার্ধের দিন যেহেতু সামনে আছে, তাই আপনারা অপেক্ষা করুন।
গত ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনুমতি নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। দ্রুত সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া তফসিল ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন সিইসি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। তাই সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। পরবর্তী সংসদের জন্য ভোটগ্রহণ করতে হবে তার আগের ৯০ দিনের মধ্যে। অর্থাৎ গত ১ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে। আর ২৯ জানুয়ারির মধ্যে রয়েছে নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি।
প্রসঙ্গত, ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হলেও এখনো সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে দেড় দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দল বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে সংবিধানের বাইরে ভোট করতে নারাজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দেশের প্রধান দুই দলের এমন অনড় অবস্থানের কারণে ভোট সঠিক হয়ে হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও নির্বাচন কমিশন সংবিধান মতে প্রস্তুত। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়েছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।