
আমার কাগজ প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠুভাবে হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে সম্প্রীতির ঐক্য ফোরামের প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন তারা।
ছাত্রদলের জরুরী সংবাদ সম্মেলন, জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা।ছাত্রদলের জরুরী সংবাদ সম্মেলন, জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা।
এ সময় সম্প্রীতির ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী শরণ এহসান বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনের নানা ধরণের অস্বচ্ছতা, অনিয়ম লক্ষ্য করে আসছি। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন নানা সময়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে কিন্তু কমিশন তার কোনো সুরাহা করেনি। গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করার কথা ছিল। আমরা জেনেছি, অনেক প্রার্থী সেই টেস্ট করেনি। ডোপ টেস্টের ফলাফল নির্বাচন কমিশন এখনো পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারেনি। এসব কিছুতে নির্বাচন কমিশন তাদের আস্থা হারিয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার পর জানানো হয়েছিল প্রার্থীরা কেন্দ্রগুলোতে পোলিং এজেন্ট রাখতে পারবে। কিন্তু আজকে সকালে যখন পোলিং এজেন্টরা কেন্দ্রে গিয়েছে তখন তাদেরকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। নির্বাচনে অনিয়মের শুরু হয়েছে ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থীতা বাতিলের মধ্যে দিয়ে। আজকে কয়েকটি হলে আমাদের প্যানেলের পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসন বলেছে তাদের উপর আস্থা রাখতে। কিন্তু এই সময়কালে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান ছিল। প্রশাসনের এহেন আচরণ ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ভোটগ্রহণের সরাসরি চিত্র বড় স্ক্রিনে দেখানোর কথা থাকলেও সেই স্ক্রিনগুলো দীর্ঘ সময় বিকল হয়ে পড়ে আছে। কেন্দ্রগুলোতে ছাত্র শিবিরের সমর্থিত প্রার্থীরা বিভিন্ন চিরকুট লিখে ভোটারদের হাতে দিয়েছে। এ সকল কর্মকাণ্ডে আমরা মনে করছি নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হচ্ছে না।