চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
বাস-মোটরসাইকলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় চতুর্থ দিনের দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধসহ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করছে চুয়েট শিক্ষার্থীরা। এতে ঐ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।
দুই শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় সোমবার রাত থেকেই চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, শীঘ্রই চুয়েটে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হবে । এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য একমাসের মধ্যে নতুন দুইটি বাস সংযোজন করা হবে।
‘তবে এ বিষয়টি বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে। কেনো না এতোদিন গাড়ি কেনার জন্য তহবিল পাশ হয়নি। এখন হয়েছে মাস খানেকের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স আর বাস কেনা হবে,’ যোগ করেন তিনি।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্ষতিপূরণের সাত লক্ষ টাকা অনেক কম। এছাড়া তারা ১০ দফা দাবি পূরণের লিখিত আশ্বাস চান। তা না হলে আন্দোলন চলবে।
এদিকে বৃহস্পতিবারই প্রশাসনের সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানালেন শিক্ষার্থীরা।
গত সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসের চাপায় নিহত হন মোটর সাইকেল আরোহী চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের তৌফিক হোসেন।
সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছেই সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছেই
দুর্ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু নামে আরেক শিক্ষার্থী। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক চালককে রাঙ্গুনিয়া থেকে আটক করেছে পুলিশ।
দুই ছাত্র নিহত ও একজনের আহতের ঘটনায় সোমবার রাতেই চুয়েট শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে নানা কর্মসূচি পালনে কাপ্তাই এর সাথে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। বুধবারও একই কর্মসূচি চালিয়ে যায় তারা।