আমার কাগজ ডেস্ক
সংঘাত শুরুর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলা থামছেই না। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর হওয়ার আগপর্যন্ত গাজার বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নারী-শিশুসহ অন্তত ১১০ জনের প্রাণ গেছে।
গাজার চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট সূত্র আল-জাজিরাকে নিহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে। জানা গেছে, রাতে হামলা হয়েছে গাজার উত্তরাঞ্চলের আল-শাতি ও জাবালিয়ার আল-বালাদ শরণার্থীশিবিরে।
এ ছাড়া গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-বুরেইজ এবং দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ ও খান ইউনিস এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।ফিলিস্তিনের একটি সংবাদ সংস্থার খবর, রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আর খান ইউনিসে শিশুসহ ২৩ জন মারা গেছে। আহতের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি আজ সকালে এক্স বার্তায় (টুইটার) জানান, গাজা উপত্যকায় ৪০০টির বেশি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর মধ্যে মসজিদও রয়েছে। তিনি বলেন, হামাসের সদস্যরা মসজিদে বসে বৈঠক করছে। এ কারণে মসজিদে হামলা চালাতে হচ্ছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই দিনই পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে নির্বিচার হামলা চলছে। অবরুদ্ধ রয়েছে গাজা উপত্যকা।
গাজায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহত ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। নিহতের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই দুই হাজার।
অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হামলা ও তাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের দেশে নিহত মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে, আহত হয়েছেন ৪ হাজারের বেশি। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬৩ সেনা ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন।