আমার কাগজ ডেস্ক
ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধারা। চলমান এই উত্তেজনা কমাতে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমাজিদ তেব্বৌনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
এক বিবৃতির বরাত দিয়ে ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, গত শনিবার ইসরাইলে হামলা চালানোর পর সেখান থেকে অন্তত দেড়শ বেসামরিক নারী-পুরুষ ও শিশুকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এই বেসামরিকদের মধ্যে ইসরাইলিদের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও রয়েছেন।
এদিকে হামাসের হামলার জবাবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পালটা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। পালটাপালটি হামলায় এরই মধ্যে দুই দেশে নিহতের সংখ্যা ২৩০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক হাজার মানুষ। যুদ্ধের ৬ দিন পার হলেও এখনো দুপক্ষের লড়াই চলছে। ফলে দুই দেশেই যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সেই সঙ্গে হামাসের হামলার জবাবে গাজায় ইসরাইলের অবরোধ এবং বোমা হামলা অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও গণহত্যার সমতুল্য বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, যুদ্ধেরও একটা নীতি-নৈতিকতা থাকে। গত সপ্তাহ থেকে ইসরাইলি সেনারা সেটাও খুব বাজেভাবে লঙ্ঘন করেছে।
গাজায় নেতানিয়াহু সরকারের পানি, খাদ্য, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ এবং ইসরাইলি বিমান হামলায় একের পর এক ঘরবাড়ি ধ্বংসের ঘটনায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, মানুষকে তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে বাধা দেওয়া এবং বেসামরিক লোকজনের বাসস্থানে বোমা হামলা করা—সংক্ষেপে বলতে হলে সব ধরনের লজ্জাজনক পদ্ধতি ব্যবহার করে সংঘাত পরিচালনা করা—কোনো যুদ্ধ হতে পারে না, এটি গণহত্যা।