আমার কাগজ প্রতিবেদক
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিঞা বলেছেন, কনস্ট্রাকশন রেজিলিয়েন্সের ব্যাপারে বহু বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও ইলেক্ট্রনিক পারমিটিং সিস্টেম প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আজ থেকে তা কার্যকর হয়েছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) উদ্যোগে এবং ইউএন-হ্যাবিটেট ও নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, এখন থেকে এই সিস্টেমের মাধ্যমে ভবনের অকুপেন্সি সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে রাজউকের পাশাপাশি ভবন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদেরও সমান দায়বদ্ধতা নিতে হবে। এছাড়াও ব্যক্তি মালিকানাধীন জলাশয় রক্ষার্থে একটি পলিসি প্রণয়ন করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে ঢাকা শহরের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হলেও সর্বশেষ বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (২০২২-২০৩৫) বিশদভাবে এ শহরের পরিকল্পনা করা হয়। যার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পেরেছি যে, বিশ্বের বিভিন্ন শহরে সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কি ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা আমাদের শহরকে কীভাবে রক্ষা করতে পারি।
সেমিনারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, ঢাকা শহরের খালগুলো পুনরুদ্ধারে দুই সিটি কর্পোরেশনের সব প্রকল্পই ইতোমধ্যে একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। এখন কারও তোয়াক্কা না করে নির্ভীকভাবে এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা গেলেই ঢাকার সব খাল পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।
বিআইপি সভাপতি পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান, পরিকল্পনাবিদ মো. আনিসুর রহমান, পরিকল্পনাবিদ রিদমা কুদ্দুস, পরিকল্পনাবিদ রিফাহ্ মাশিয়াত জেন, ইউএন-হ্যাবিটেট বাংলাদেশের রিজিওনাল অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের কারিগরি উপদেষ্টা প্রিয়াঙ্কা কোচার প্রমুখ।