
আমার কাগজ প্রতিবেদক
ঢাকার আশুলিয়ায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে লাগা আগুনে দগ্ধদের মধ্যে এক নারী মারা গেছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৩টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।
তিনি বলেন, “তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। শিউলি আক্তার আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন।”
ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, এখনো বেঁচে থাকা ১০ জনের মধ্যে চারজন এইচডিইউতে, একজন আইসিইউতে, একজন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং চারজন পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
“তাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চারজনের অবস্থা গুরুতর। শারমিন নামে একজনকে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে।”
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় একটি বাসায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লেগে তিন শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়।
দগ্ধরা হলেন- জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৫), সূর্য বানু (৫০), সোহেল মিয়া (৩৮), সুমন মিয়া (৩২), শিউলি আক্তার (৩২), শারমিন আক্তার (৩৫), শামিম (১৫), মাহাদী (৭), সোয়ায়েদ (৪) ও সুমাইয়া (৩)।
দগ্ধদের সেদিন গভীর রাতে ঢাকার জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে আনা হয়।
আশুলিয়া থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী শুক্রবার বলেছিলেন, “জিরাবো এলাকার একটি বাসায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে এই আগুন লেগেছে। আগুনে তিনটি শিশুসহ ১১ জন পুড়ে গেছে।”